১১:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের যেসব টার্গেটে সহজে হামলা চালাতে পারে ইরান

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৫:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • 13

ছবি: সংগৃহীত

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিষয়ে দুই সপ্তাহ সময় নেওয়ার কথা বলেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার আগেই ইরানে হামলা চালিয়ে বসেন তিনি।

গতকাল শনিবার রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—এই তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়াল যুক্তরাষ্ট্র।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান কী করতে পারে, এ প্রশ্নের জবাব খোঁজার চেষ্টা করেছেন বিবিসির সাংবাদিক ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনার।

তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরানকে এখন তিনটি কৌশলগত পথের একটি বেছে নিতে হবে। প্রথমত কোনো কিছু না করা।

এতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও হামলা থেকে রেহাই পেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ইরান চাইলে কূটনৈতিক পথেও যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ফিরতে পারে।

তবে কিছুই না করে চুপচাপ বসে থাকলে ইরান সরকারকে দুর্বল মনে হতে পারে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালালে তার ভয়াবহ পরিণতি হবে—এ হুঁশিয়ারি বারবার দেওয়ার পর। তাই ইরান মনে করতে পারে, জনগণের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি হামলার ঝুঁকির চেয়েও বড়।

দ্বিতীয় পথ, তীব্র ও দ্রুত প্রতিশোধ নেওয়া। ইরানের কাছে এখনো অনেক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা তারা বহু বছর ধরে তৈরি করেছে এবং লুকিয়ে রেখেছে। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২০টি ঘাঁটির তালিকা তাদের হাতে আছে, যেগুলো তারা সহজে টার্গেট করতে পারে।

ইরান চাইলে ছোট ছোট ড্রোন, দ্রুতগতির নৌকা বা অন্যান্য ছোট অস্ত্রবাহী যানের সাহায্যে একসঙ্গে দলবদ্ধভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের ওপর হামলা চালাতে পারে।

আরো পড়ুন: ইরানের খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র কেন এত ভয়ংকর?

ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনারের মতে, ইরানের হাতে সর্বশেষ পথ হতে পারে নিজের সুবিধামতো সময়ে প্রতিশোধ নেওয়া। এখনকার উত্তেজনা কমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে তেহরান। এরপর যখন যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলো সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে না, ঠিক তখন অতর্কিতে আক্রমণ চালাবে তারা।

ইরান যদি চায় তাহলে তার প্রতিবেশী দেশ, যাদেরকে সে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী মনে করে, তাদের স্থাপনার ওপর হামলা করতে পারে। এমনটি হলে অবশ্য যুদ্ধ গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

যুক্তরাষ্ট্রের যেসব টার্গেটে সহজে হামলা চালাতে পারে ইরান

সর্বশেষ আপডেট : ০৫:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিষয়ে দুই সপ্তাহ সময় নেওয়ার কথা বলেছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার আগেই ইরানে হামলা চালিয়ে বসেন তিনি।

গতকাল শনিবার রাতে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—এই তিন পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়াল যুক্তরাষ্ট্র।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান কী করতে পারে, এ প্রশ্নের জবাব খোঁজার চেষ্টা করেছেন বিবিসির সাংবাদিক ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনার।

তাঁর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাবে ইরানকে এখন তিনটি কৌশলগত পথের একটি বেছে নিতে হবে। প্রথমত কোনো কিছু না করা।

এতে যুক্তরাষ্ট্রের আরও হামলা থেকে রেহাই পেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ইরান চাইলে কূটনৈতিক পথেও যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ফিরতে পারে।

তবে কিছুই না করে চুপচাপ বসে থাকলে ইরান সরকারকে দুর্বল মনে হতে পারে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালালে তার ভয়াবহ পরিণতি হবে—এ হুঁশিয়ারি বারবার দেওয়ার পর। তাই ইরান মনে করতে পারে, জনগণের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি হয়তো যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি হামলার ঝুঁকির চেয়েও বড়।

দ্বিতীয় পথ, তীব্র ও দ্রুত প্রতিশোধ নেওয়া। ইরানের কাছে এখনো অনেক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা তারা বহু বছর ধরে তৈরি করেছে এবং লুকিয়ে রেখেছে। মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২০টি ঘাঁটির তালিকা তাদের হাতে আছে, যেগুলো তারা সহজে টার্গেট করতে পারে।

ইরান চাইলে ছোট ছোট ড্রোন, দ্রুতগতির নৌকা বা অন্যান্য ছোট অস্ত্রবাহী যানের সাহায্যে একসঙ্গে দলবদ্ধভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজের ওপর হামলা চালাতে পারে।

আরো পড়ুন: ইরানের খাইবার ক্ষেপণাস্ত্র কেন এত ভয়ংকর?

ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনারের মতে, ইরানের হাতে সর্বশেষ পথ হতে পারে নিজের সুবিধামতো সময়ে প্রতিশোধ নেওয়া। এখনকার উত্তেজনা কমে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করবে তেহরান। এরপর যখন যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিগুলো সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকবে না, ঠিক তখন অতর্কিতে আক্রমণ চালাবে তারা।

ইরান যদি চায় তাহলে তার প্রতিবেশী দেশ, যাদেরকে সে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী মনে করে, তাদের স্থাপনার ওপর হামলা করতে পারে। এমনটি হলে অবশ্য যুদ্ধ গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে।