১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

দলে দলে তেহরান ছেড়ে যাচ্ছে মানুষ

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৫:০১:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • 41

ইসরায়েল টানা হামলা শুরু করার পর আতঙ্কিত রাজধানী তেহরান ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । রোববার (১৫ জুন) পেট্রল পাম্পগুলোতে লম্বা লাইন দেখা গেছে, কারণ সবাই ঘর ছাড়ার আগে জ্বালানি নিতে চাইছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘মানুষজন ভয় পেয়ে যাচ্ছে। অনেক পেট্রল পাম্পে উপচে পড়েছে, কারণ সবাই চাইছে নিরাপদ স্থানে যেতে।’

অনেকে বলছেন, পাম্পে অল্প পেট্রল রয়েছে, সেজন্য চাইলে সবাই নিতে পারছে না। অপর এক বাসিন্দা বলেন, ‘রাজধানীতে আশ্রয় নেওয়ার মতো নিরাপদ জায়গা নেই। যদি হামলা হয়, কোথায় যাব?’

আরও পড়ুন : যে শর্তে হামলা বন্ধ করতে রাজি ইরান

অনেক মানুষ রাজধানী ছেড়ে উত্তর দিকে যাচ্ছে। কারণ সেখানে গ্রাম এলাকা এবং তারা নিরাপদ মনে করছেন। কিন্তু মহাসড়কগুলো গাড়িতে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, ফলে চলাচল হচ্ছে অনেক ধীর ও দুর্বল।

গতকাল রোববারই ইসরায়েল অস্ত্র কারখানার আশপাশে বসবাসকারী ইরানিদের নিরাপদ স্থানে যেতে বলেছে। অপরদিকে, ইরানও গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বৈজ্ঞানিক স্থাপনার আশেপাশে বসবাসকারী ইসরায়েলিদের সরতে অনুরোধ করেছে।

রয়টার্সের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অনেকে আহত ও আতঙ্কিত হয়ে ঘর ও এলাকা ছাড়ছে। বেশির ভাগ নিহতই সাধারণ মানুষ, যাদের সংখ্যা ২২৪ পর্যন্ত পৌঁছেছে। তবে নিহতদের মধ্যে কিছু উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাও রয়েছে।

সূত্র : সিএনএন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

দলে দলে তেহরান ছেড়ে যাচ্ছে মানুষ

সর্বশেষ আপডেট : ০৫:০১:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

ইসরায়েল টানা হামলা শুরু করার পর আতঙ্কিত রাজধানী তেহরান ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । রোববার (১৫ জুন) পেট্রল পাম্পগুলোতে লম্বা লাইন দেখা গেছে, কারণ সবাই ঘর ছাড়ার আগে জ্বালানি নিতে চাইছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘মানুষজন ভয় পেয়ে যাচ্ছে। অনেক পেট্রল পাম্পে উপচে পড়েছে, কারণ সবাই চাইছে নিরাপদ স্থানে যেতে।’

অনেকে বলছেন, পাম্পে অল্প পেট্রল রয়েছে, সেজন্য চাইলে সবাই নিতে পারছে না। অপর এক বাসিন্দা বলেন, ‘রাজধানীতে আশ্রয় নেওয়ার মতো নিরাপদ জায়গা নেই। যদি হামলা হয়, কোথায় যাব?’

আরও পড়ুন : যে শর্তে হামলা বন্ধ করতে রাজি ইরান

অনেক মানুষ রাজধানী ছেড়ে উত্তর দিকে যাচ্ছে। কারণ সেখানে গ্রাম এলাকা এবং তারা নিরাপদ মনে করছেন। কিন্তু মহাসড়কগুলো গাড়িতে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, ফলে চলাচল হচ্ছে অনেক ধীর ও দুর্বল।

গতকাল রোববারই ইসরায়েল অস্ত্র কারখানার আশপাশে বসবাসকারী ইরানিদের নিরাপদ স্থানে যেতে বলেছে। অপরদিকে, ইরানও গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও বৈজ্ঞানিক স্থাপনার আশেপাশে বসবাসকারী ইসরায়েলিদের সরতে অনুরোধ করেছে।

রয়টার্সের প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, অনেকে আহত ও আতঙ্কিত হয়ে ঘর ও এলাকা ছাড়ছে। বেশির ভাগ নিহতই সাধারণ মানুষ, যাদের সংখ্যা ২২৪ পর্যন্ত পৌঁছেছে। তবে নিহতদের মধ্যে কিছু উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাও রয়েছে।

সূত্র : সিএনএন