ঢাকা ডেস্ক 
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ অনেক ভুল করেছে, এবং বর্তমান অবস্থা সেই সব ভুলের শাস্তি বলে মনে করে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
সাবেক এই রাষ্ট্রপতি কাছের মানুষদের প্রায়ই বলেন, ‘গত ১৬ বছরে আমাদের অনেক ভুল ছিল। তা না হলে এমনটা কেন হলো? ভুল ছিল বলেই আজকের এই পরিণতি। আজকের অবস্থা হয়তো আমাদের ভুলেরই শাস্তি।’
গত বৃহস্পতিবার একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের শ্যালক ডা. আনম নওশাদ খান এসব কথা জানিয়েছেন।
ড. আনম জানান, সাবেক রাষ্ট্রপতি মনে করেন আওয়ামী লীগকে ভবিষ্যতে রাজনীতি করতে অতীতের ভুল শোধরাতে হবে। নয়তো রাজনীতিতে ফেরা কঠিন।
তিনি জানান, আবদুল হামিদ প্রায়ই আক্ষেপ করে বলেন, ২০১২ সালে স্পিকার থাকাকালে তিনি শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন, সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করতে দেশের জনগণ বেশিদিন সেটি মেনে নেবে না।
গত ৭ মে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তার সঙ্গে গিয়েছিলেন শ্যালক ডা. আনম।
সে সময় তুমুল আলোচনা হয় যে, দেশ থেকে পালিয়েছেন আবদুল হামিদ এবং তিনি আর দেশে ফিরবেন না। তবে এক মাস পর গত ৯ জুন দেশে ফিরে আসেন আবদুল হামিদ।
বর্তমানে শ্যালক ডা. আনমই ৮২ বছর বয়সী আবদুল হামিদকে দেখাশোনা করছেন।
ডা. আনম জানিয়েছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি এখন আর রাজনীতি নিয়ে ভাবছেন না। তার শারীরিক অবস্থা আসলে তেমন ভালো নেই।
আরও পড়ুন : ইউনূস-তারেকের বৈঠক : আলোচনার এজেন্ডা ও ফলাফল কী হতে পারে?
‘তবে তিনি নিয়মিত পত্রিকা পড়েন, কখনও কখনও টেলিভিশনও দেখেন। দেশের খোঁজ রাখেন। কিন্তু রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই কারও সঙ্গে,’ বলেন তিনি।
গত জুলাই আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের পর এখন পর্যন্ত আবদুল হামিদের পক্ষ থেকে তার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি বা তিনিও (শেখ হাসিনা) সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি বলেও জানান এই চিকিৎসক।
প্রসঙ্গত, মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বাংলাদেশের ২০ ও ২১তম (ব্যক্তি হিসেবে ১৭তম) রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি প্রথম মেয়াদে ২০১৩ সালে এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৮ সালে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বগ্রহণ করেন।
১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করা আবদুল হামিদ বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
