চীনের চাকরি ছেড়ে দেশে চলে এসেছেন, কোনো বিরতি না দিয়েই শুরু করলেন হিরো আলমের সঙ্গে মিউজিক ভিডিওর কাজ। কিশোরগঞ্জের মেয়ে সাইকা সুবহা তান্নু। ২০১৯ সালে চলে যান চীনের হাংঝু শহরে, মায়ের কাছেই থাকতেন। মা সেখানেই চাকরি করেন।
এরপর তান্নুও সেখানে একটি অ্যাকোয়ারিয়াম কোম্পানিতে চাকরি নেন। নিজ আনন্দে চাকরিই করছিলেন।
শোবিজ দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণ ছিল এই তরুণীর। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে ছোট ছোট ভিডিও বানাতেন।
চীনের চাকরি ছেড়ে তরুণী চলে এলেন হিরো আলমের কাছে
নিজেই সেসব দেখতেন। সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করতেন। মানুষজন নানা প্রতিক্রিয়া জানাতেন। সেসব তার মনে আলোড়ন তৈরি করত।
দেশের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের খেয়াল করতেন তান্নু। ইচ্ছা ছিল দেশে এসে ফিরে মিডিয়ায় কাজ করবেন। এভাবেই পরিচয় হয় আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের সঙ্গে। তাকে নিজের ইচ্ছার কথা বলেন। হিরো আলমের ইতিবাচক সাড়া পাওয়ায় চীন থেকে চলে আসেন ঢাকায়।
দেখা করেছেন হিরো আলমের সঙ্গে। এরই মধ্যে তার সঙ্গে কাজও শুরু করেছেন।
আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা দুজন মিলে মিউজিক ভিডিও করেছি। চায়না ভাষার গানে করা মিউজিক ভিডিওতে আমি ও তান্নু মডেল হয়েছি। দর্শকরা তাড়াতাড়ি দেখতে পারবেন।’
সাইকা সুবহা তান্নু বলেন, ‘আমার আসলে শোবিজের প্রতি এক ধরনের আগ্রহ ছিল। আমি চীনের হাংঝু শহরে পরিবারের সঙ্গেই ছিলাম। সেখানেই চাকরি করতাম। হিরো আলমের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর আমি দেশে আসি। এখন তাঁর সঙ্গেই কাজ করছি। আমার তো ভিসা রয়েছে। যদি দেখি আমার ইচ্ছার সেভাবে বিকাশ ঘটছে না তাহলে চলে যাবো। তবে আমার ইচ্ছা আছে, এখানে ভালো কিছু করার।’
হিরো আলম বললেন, ‘তান্নুর সঙ্গে আমি অনেকগুলো কাজ করব। তার কাজের প্রতি আগ্রহ আছে। সে চীন থেকে চাকরি ছড়ে দিয়ে আমার সঙ্গে কাজ করতে আসছে, এটা অনেক বড় ব্যাপার। কাজ শুরু করলাম। এরই মধ্যে আমরা দুজন মিলে মিউজিক ভিডিও করেছি। চায়না ভাষার গানে করা মিউজিক ভিডিওতে আমি ও তান্নু মডেল হয়েছি। দর্শকরা তাড়াতাড়ি দেখতে পারবেন। দেখা যাক কী হয়।’