১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

চুরি করতে গিয়ে যুবলীগ নেতা ধরা, বেঁধে বেধড়ক পিটুনি

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৭:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • 24

সুনামগঞ্জে চুরির অভিযোগে এক যুবককে রশি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক পিটুনি দেওয়া হয়েছে হয়েছে। পরে চুরির দায় স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান ওই যুবক। ওই যুবক যুবলীগ নেতা বলে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।

রোববার (০১ জুন) সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামে গত এ ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই যুবকের নাম ইছা মিয়া (৩৫)। তিনি সাধেরখলা গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

চুরিকাণ্ডে যুবলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পিটুনি

ভিডিওতে দেখা যায়, ইছা মিয়া খুঁটির সঙ্গে বাধা অবস্থায় ঘিরে থাকা মানুষদের হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে বলছেন, ‘আমার ঘরেও মালটি আছে। আমি আইন্যা দেই। আমারে একুট পানি খাওয়াও। তোমরা যা কও, আমি তাই রাজি। আমারে তোমরা আর মাইরো না, অত্যাচার কইর না।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাধেরখলা হাজী এমএ জাহের উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন রহিম মিয়ার দোকানে গত শনিবার ( ৩১ মে) রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। পরদিন রোববার সকালে অনেক খোঁজাখুঁজির পর চোর সন্দেহে ইছা মিয়াকে ধরে আনেন গ্রামের লোকজন। তাকে রহিমের দোকান ঘরের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয়। তখন ইছা মিয়া চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর তার কাছ থেকে চুরি হওয়া কিছু মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা ইছা মিয়ার পরিবারকে খবর দিলে তারা কেউ আসেননি। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য রোপন মিয়াসহ আরও কয়েকজন মুরব্বিকে ডেকে আনা হয়। ইছা মিয়া আর চুরির করবেন না জানিয়ে মুচলেকা রেখে পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন : বাড়িতে মিলল ১২০০ বস্তা চাল, কী বললেন উপদেষ্টা আসিফ

দক্ষিণ বড়দল ইউপির সদস্য রোপন মিয়া জানান, ইছা মিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই চুরির অভিযোগ আছে। গ্রামের রহিম মিয়ার দোকানে চুরির ঘটনায় এলাকার যুবকরা তাকে ধরে এনে বেঁধে রাখে। পরে সে চুরির কথা স্বীকার এবং কিছু মালামাল বের করে দেয়। এরপর গ্রামের লোকজনের মতামতের ভিত্তিতে কাগজে মুচলেকা রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইছা মিয়ার সংগঠনের পরিচয় নিশ্চিতের জন্য দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি। সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুক মিয়া জানান, আমি ২০২০ সালে দল থেকে পদত্যাগ করেছি। এখন কে আছে আর কে নাই, আমি জানি না।

এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, তাকে কেউ বিষয়টি জানায়নি বা চুরির বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে চোর সন্দেহে কাউকে এভাবে ধরে এনে শাস্তি দেয়া বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

চুরি করতে গিয়ে যুবলীগ নেতা ধরা, বেঁধে বেধড়ক পিটুনি

সর্বশেষ আপডেট : ০৭:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

সুনামগঞ্জে চুরির অভিযোগে এক যুবককে রশি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক পিটুনি দেওয়া হয়েছে হয়েছে। পরে চুরির দায় স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান ওই যুবক। ওই যুবক যুবলীগ নেতা বলে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।

রোববার (০১ জুন) সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামে গত এ ঘটনা ঘটে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই যুবকের নাম ইছা মিয়া (৩৫)। তিনি সাধেরখলা গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

চুরিকাণ্ডে যুবলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পিটুনি

ভিডিওতে দেখা যায়, ইছা মিয়া খুঁটির সঙ্গে বাধা অবস্থায় ঘিরে থাকা মানুষদের হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে বলছেন, ‘আমার ঘরেও মালটি আছে। আমি আইন্যা দেই। আমারে একুট পানি খাওয়াও। তোমরা যা কও, আমি তাই রাজি। আমারে তোমরা আর মাইরো না, অত্যাচার কইর না।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাধেরখলা হাজী এমএ জাহের উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন রহিম মিয়ার দোকানে গত শনিবার ( ৩১ মে) রাতে চুরির ঘটনা ঘটে। পরদিন রোববার সকালে অনেক খোঁজাখুঁজির পর চোর সন্দেহে ইছা মিয়াকে ধরে আনেন গ্রামের লোকজন। তাকে রহিমের দোকান ঘরের খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয়। তখন ইছা মিয়া চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর তার কাছ থেকে চুরি হওয়া কিছু মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা ইছা মিয়ার পরিবারকে খবর দিলে তারা কেউ আসেননি। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য রোপন মিয়াসহ আরও কয়েকজন মুরব্বিকে ডেকে আনা হয়। ইছা মিয়া আর চুরির করবেন না জানিয়ে মুচলেকা রেখে পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

আরও পড়ুন : বাড়িতে মিলল ১২০০ বস্তা চাল, কী বললেন উপদেষ্টা আসিফ

দক্ষিণ বড়দল ইউপির সদস্য রোপন মিয়া জানান, ইছা মিয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই চুরির অভিযোগ আছে। গ্রামের রহিম মিয়ার দোকানে চুরির ঘটনায় এলাকার যুবকরা তাকে ধরে এনে বেঁধে রাখে। পরে সে চুরির কথা স্বীকার এবং কিছু মালামাল বের করে দেয়। এরপর গ্রামের লোকজনের মতামতের ভিত্তিতে কাগজে মুচলেকা রেখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ইছা মিয়ার সংগঠনের পরিচয় নিশ্চিতের জন্য দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি ফোন ধরেননি। সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুক মিয়া জানান, আমি ২০২০ সালে দল থেকে পদত্যাগ করেছি। এখন কে আছে আর কে নাই, আমি জানি না।

এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, তাকে কেউ বিষয়টি জানায়নি বা চুরির বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে চোর সন্দেহে কাউকে এভাবে ধরে এনে শাস্তি দেয়া বেআইনি।