সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ জারিতে সৃষ্ট সংকট নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এ বিষয়ে গঠিত ৭ জন সচিবের সমন্বয়ে কমিটি। বুধবার (২৮ মে) সচিবালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টা ফেরার পরই সচিবালয়ে সংকট নিরসনে সিদ্ধান্ত
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ জানান, আন্দোলনরত সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য ফোরামের দাবিসমূহ মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করবেন। চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে জাপান থেকে প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফেরার পরেই এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে তারা কর্মচারীদের দাবিসহ গতকালের আলোচনার বিষয়টি জানিয়েছেন। এখন এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তাই তিনি বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরবেন।
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যফ্রমের কো চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে আলোচনা করেই আন্দোলন বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
প্রধান উপদেষ্টা গতকাল মঙ্গলবার রাতে জাপান সফরে গেছেন। ৩১ মে তার দেশে ফেরার কথা।
আরও পড়ুন : ঈদুল আজহা কবে জানা যাবে সন্ধ্যায়
গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন হয়। এর পর থেকে এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। আন্দোলনের মধ্যেই গত রোববার সন্ধ্যায় সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার।
এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে গত শনিবার থেকে টানা চার দিন সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। নিজেদের দপ্তর ছেড়ে বিপুলসংখ্যক কর্মচারী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন। তাঁরা এই অধ্যাদেশকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি করছেন।