অভাব জীবনকে অতিষ্ট করে তুলছিল। হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছিল তাদের জীবন। বাড়ছিল তাদের পারিবারিক কলহ। ভালোবাসার সংসার ক্রমেই পরিণত হচ্ছিল তিক্ততায়।
উপায় বের করতে বিক্রি করে দিয়েছিলেন উপার্জনের মাধ্যম ইজিবাইকটিও। কিন্তু বাকি ছিল আরও কয়েকটি কিস্তি। তার পরও অভাবেই জীবন টেনে নিচ্ছিলেন জরিনা ও আল আমিন। শেষমেশ ভালোবাসা ও বিষাদের এক মর্মান্তিক পরিণতিতে শেষ হলো তাদের জীবনের গল্প।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর এলাকার আল আমিন (২৫) ও তার স্ত্রী জরিনা বেগম (২০) রবিবার রাতে একসঙ্গে ‘কেরির ট্যাবলেট’ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
রাত ১০টার দিকে পরিবারের লোকজন দুজনকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরিনা জরুরি বিভাগেই মারা যান।
কিছুটা সময় লড়লেও রাত ১টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আল আমিনও।
জরিনার ভাই আনোয়ার হোসেন জানান, অভাব-অনটন ও সংসারের টানাপোড়েন তাদের প্রতিনিয়ত পুড়িয়ে দিচ্ছিল। কিস্তিতে কেনা ইজিবাইকটি কয়েক দিন আগে আল আমিন বিক্রি করে দেন।
আরও পড়ুন : সীমান্তে দুই বাংলাদেশিকে গুলি করেছে বিএসএফ
এরপর শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। এই দুঃখ, রাগ ও অপ্রাপ্তির হতাশা থেকেই তারা একসঙ্গে আত্মহননের পথ বেছে নেন।
তাদের সংসারে রয়েছে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে শিশু। এখন তারা শুধু এতিমই নয়, বঞ্চিতও হলো মা-বাবার স্নেহ থেকে। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের যাত্রায় তাদের জীবন।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন বলেন, অভাব-অনটন ও মানসিক কষ্ট থেকেই এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।