১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

‘মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের সংযোগ গড়ে তোলা জরুরি’

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৬:৪২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
  • 23

ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের সংযোগ গড়ে তোলা জরুরি। আর সেই সংযোগের জন্য বড় বাহন হতে পারে বই। এই তাগিদ যত বাড়বে, যত শক্তিশালী হবে, তত তরুণেরা দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।

শুক্রবার (২৩ মে) বেলা ১১টার পর ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত ‘আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপাঠ উদ্যোগ’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সবার উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন মফিদুল হক। তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের সামাজিক শক্তির, বাংলাদেশের সমাজের যে নিজস্ব শক্তি রয়েছে, তারই একটা প্রতিফলন। এই বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তৃতীয়বারের মতো তিন মাসব্যাপী বইপাঠ কর্মসূচি শুরু হয়। ঢাকা মহানগরীর ১০টি পাঠাগার এতে যুক্ত হয় এবং প্রতিটি পাঠাগারে নির্বাচিত তিনটি বইয়ের পাঁচটি করে সেট দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রশীদ হায়দার সম্পাদিত ‘খুঁজে ফিরি: ১৯৭১-এ পিতৃ স্মৃতিহীন সন্তানদের কথা’, কলেজ পর্যায়ে ঝর্ণা বসু ও মফিদুল হক সম্পাদিত ‘অবরুদ্ধ অশ্রুর দিন: পারিবারিক স্মৃতি ভাষ্য ১৯৭১’ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আনোয়ার পাশা রচিত ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ ছিল।

নির্বাচিত ৫০টি পাঠাগার

এবার ঢাকা মহানগর ছাড়াও সারাদেশ থেকে নির্বাচিত ৫০টি পাঠাগারকে বই প্রদান করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। গ্রন্থ পাঠ শেষে স্কুল পর্যায়ে ২০৮টি, কলেজ পর্যায়ে ১৪২টি এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ১২৮টি পাঠ প্রতিক্রিয়া জমা পড়ে। বিচারকদের দেওয়া নম্বরে প্রতি বিভাগে সেরা ১০ জনের প্রত্যেককে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই ও ৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক পাঠককে দেওয়া হয় সনদ।

আরো পড়ুন: শপথ কেবল একটা ফরমালিটি: ইশরাক

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আরেক ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বলেছেন, ‘আলী যাকের সফল মানুষ ছিলেন, তিনি যে কাজে হাত দিয়েছেন, সে কাজেই সফল হয়েছেন। যখন রাষ্ট্র কোনো সহায়তা করেনি, তখন আমরা এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।’

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ব্যবস্থাপক (কর্মসূচি) রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডা. জামিল স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নার্গিস আক্তার বানু, সীমান্ত গ্রন্থাগার ঢাকার সাধারণ সম্পাদক কাজী সুলতান আহমেদ টোকন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ খালেকের সন্তান রাকিবুল খালেক।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

‘মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের সংযোগ গড়ে তোলা জরুরি’

সর্বশেষ আপডেট : ০৬:৪২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের সংযোগ গড়ে তোলা জরুরি। আর সেই সংযোগের জন্য বড় বাহন হতে পারে বই। এই তাগিদ যত বাড়বে, যত শক্তিশালী হবে, তত তরুণেরা দেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে।

শুক্রবার (২৩ মে) বেলা ১১টার পর ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত ‘আলী যাকের মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থপাঠ উদ্যোগ’-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সবার উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন মফিদুল হক। তিনি বলেন, এটা বাংলাদেশের সামাজিক শক্তির, বাংলাদেশের সমাজের যে নিজস্ব শক্তি রয়েছে, তারই একটা প্রতিফলন। এই বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তৃতীয়বারের মতো তিন মাসব্যাপী বইপাঠ কর্মসূচি শুরু হয়। ঢাকা মহানগরীর ১০টি পাঠাগার এতে যুক্ত হয় এবং প্রতিটি পাঠাগারে নির্বাচিত তিনটি বইয়ের পাঁচটি করে সেট দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য রশীদ হায়দার সম্পাদিত ‘খুঁজে ফিরি: ১৯৭১-এ পিতৃ স্মৃতিহীন সন্তানদের কথা’, কলেজ পর্যায়ে ঝর্ণা বসু ও মফিদুল হক সম্পাদিত ‘অবরুদ্ধ অশ্রুর দিন: পারিবারিক স্মৃতি ভাষ্য ১৯৭১’ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আনোয়ার পাশা রচিত ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ ছিল।

নির্বাচিত ৫০টি পাঠাগার

এবার ঢাকা মহানগর ছাড়াও সারাদেশ থেকে নির্বাচিত ৫০টি পাঠাগারকে বই প্রদান করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। গ্রন্থ পাঠ শেষে স্কুল পর্যায়ে ২০৮টি, কলেজ পর্যায়ে ১৪২টি এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ১২৮টি পাঠ প্রতিক্রিয়া জমা পড়ে। বিচারকদের দেওয়া নম্বরে প্রতি বিভাগে সেরা ১০ জনের প্রত্যেককে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই ও ৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয় অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক পাঠককে দেওয়া হয় সনদ।

আরো পড়ুন: শপথ কেবল একটা ফরমালিটি: ইশরাক

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আরেক ট্রাস্টি সারওয়ার আলী বলেছেন, ‘আলী যাকের সফল মানুষ ছিলেন, তিনি যে কাজে হাত দিয়েছেন, সে কাজেই সফল হয়েছেন। যখন রাষ্ট্র কোনো সহায়তা করেনি, তখন আমরা এ জাদুঘর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।’

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ব্যবস্থাপক (কর্মসূচি) রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডা. জামিল স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নার্গিস আক্তার বানু, সীমান্ত গ্রন্থাগার ঢাকার সাধারণ সম্পাদক কাজী সুলতান আহমেদ টোকন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ খালেকের সন্তান রাকিবুল খালেক।