১২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

ঘরে বসে সহজেই স্টারলিংকের সংযোগ যেভাবে নেবেন

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৩:২৭:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • 27

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। এটি বিশ্বজুড়ে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা হিসেবে অনেক জনপ্রিয়।

বিশ্বের যেসব অঞ্চলে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছানো দুঃসাধ্য, সেখানে খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারে স্যাটেলাইটের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ। আর এর সাহায্যে দুর্গম এলাকাগুলোতেও সহজে পৌঁছানো যায় ইন্টারনেট সেবা। বাংলাদেশের দুর্গম এলাকায় খুব সহজে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে এর মাধ্যমে।

স্টারলিংকের সংযোগ পাবেন যেভাবে

উচ্চগতির ও নিরবিচ্ছিন্ন এই সংযোগ পেতে হলে সরাসরি প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে যেতে হবে। প্রথমে স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে গেলে ‘রেসিডেনশিয়াল’ ও ‘রোম’ নামের দুটি অপশন দেখাবে। রেসিডেনশিয়ালে ‘অর্ডার নাউ’ অপশনে গিয়ে নিজের স্থান নির্বাচন করতে হবে। তবে সরকার ‘রোম’, অর্থাৎ ভ্রাম্যমাণ সেবার অনুমোদন এখনো দেয়নি।

এখানে প্রথমে আপনার ঠিকানা দিয়ে সেখানে এই সেবা পৌঁছাবে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে।

এরপর চেকআউট অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও টাকা পরিশোধ করতে হবে। পরে ‘প্লেস অর্ডার’ ক্লিক করতে হবে। তারপর একটি সার্ভিস প্ল্যান বেছে নিয়ে হার্ডওয়্যার কিট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পুরো সেট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে।

স্টারলিংকে ৩০ দিনের একটি ট্রায়াল অপশনও রয়েছে। পরবর্তিতে গ্রাহক সন্তুষ্ট না হলে পুরো টাকা রিফান্ড নিতে পারবেন। তবে বাংলাদেশে এই সুযোগ এখনই আসছে কি না তা জানতে আর একটু সময় লাগতে পারে।

এর আগে বাংলাদেশের বাজারে মঙ্গলবার (২০ মে) বাণিজ্যিক সেবা শুরু করেছে স্টারলিংক। গতকাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য জানানো হয়। স্টারলিংকও গতকাল এক্সে দেয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করে।

আরও পড়ুন : স্টারলিংকের সংযোগ নিতে এককালীন খরচ কত? মিলবে যেসব সুবিধা

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্টারলিংকের ‘সেটআপ’ সরঞ্জামের জন্য এককালীন খরচ হবে ৪৭ হাজার টাকা। দুটি প্যাকেজ এখন পর্যন্ত চালু করেছে তারা। স্টারলিংক রেসিডেন্সের মাসিক খরচ ৬ হাজার টাকা, রেসিডেন্স লাইটের খরচ ৪ হাজার ২০০ টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একটা ‘ডিভাইস’ (যন্ত্র) থেকে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ মিটার পর্যন্ত ইন্টারনেট পাওয়া যাবে। গ্রামে তা ৫০ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত হবে। এক ব্যক্তি কিনে বা একাধিক ব্যক্তি সমিতি আকারে কিনে তা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারবেন।

উচ্চগতির জন্য স্টারলিংক জনপ্রিয়। বলা হয়, প্রত্যন্ত বা দুর্গম অঞ্চল, যেখানে প্রথাগত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছাতে পারে না, সেখানে স্টারলিংক সহজেই সেবা দিতে পারে। স্টারলিংকে সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস (মেগাবিট পার সেকেন্ড) গতিতে আনলিমিটেড (সীমাহীন) ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

ঘরে বসে সহজেই স্টারলিংকের সংযোগ যেভাবে নেবেন

সর্বশেষ আপডেট : ০৩:২৭:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। এটি বিশ্বজুড়ে স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা হিসেবে অনেক জনপ্রিয়।

বিশ্বের যেসব অঞ্চলে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছানো দুঃসাধ্য, সেখানে খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারে স্যাটেলাইটের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ। আর এর সাহায্যে দুর্গম এলাকাগুলোতেও সহজে পৌঁছানো যায় ইন্টারনেট সেবা। বাংলাদেশের দুর্গম এলাকায় খুব সহজে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে এর মাধ্যমে।

স্টারলিংকের সংযোগ পাবেন যেভাবে

উচ্চগতির ও নিরবিচ্ছিন্ন এই সংযোগ পেতে হলে সরাসরি প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে যেতে হবে। প্রথমে স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে গেলে ‘রেসিডেনশিয়াল’ ও ‘রোম’ নামের দুটি অপশন দেখাবে। রেসিডেনশিয়ালে ‘অর্ডার নাউ’ অপশনে গিয়ে নিজের স্থান নির্বাচন করতে হবে। তবে সরকার ‘রোম’, অর্থাৎ ভ্রাম্যমাণ সেবার অনুমোদন এখনো দেয়নি।

এখানে প্রথমে আপনার ঠিকানা দিয়ে সেখানে এই সেবা পৌঁছাবে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে।

এরপর চেকআউট অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য ও টাকা পরিশোধ করতে হবে। পরে ‘প্লেস অর্ডার’ ক্লিক করতে হবে। তারপর একটি সার্ভিস প্ল্যান বেছে নিয়ে হার্ডওয়্যার কিট কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে পুরো সেট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে যাবে।

স্টারলিংকে ৩০ দিনের একটি ট্রায়াল অপশনও রয়েছে। পরবর্তিতে গ্রাহক সন্তুষ্ট না হলে পুরো টাকা রিফান্ড নিতে পারবেন। তবে বাংলাদেশে এই সুযোগ এখনই আসছে কি না তা জানতে আর একটু সময় লাগতে পারে।

এর আগে বাংলাদেশের বাজারে মঙ্গলবার (২০ মে) বাণিজ্যিক সেবা শুরু করেছে স্টারলিংক। গতকাল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য জানানো হয়। স্টারলিংকও গতকাল এক্সে দেয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করে।

আরও পড়ুন : স্টারলিংকের সংযোগ নিতে এককালীন খরচ কত? মিলবে যেসব সুবিধা

প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্টারলিংকের ‘সেটআপ’ সরঞ্জামের জন্য এককালীন খরচ হবে ৪৭ হাজার টাকা। দুটি প্যাকেজ এখন পর্যন্ত চালু করেছে তারা। স্টারলিংক রেসিডেন্সের মাসিক খরচ ৬ হাজার টাকা, রেসিডেন্স লাইটের খরচ ৪ হাজার ২০০ টাকা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একটা ‘ডিভাইস’ (যন্ত্র) থেকে ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ মিটার পর্যন্ত ইন্টারনেট পাওয়া যাবে। গ্রামে তা ৫০ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত হবে। এক ব্যক্তি কিনে বা একাধিক ব্যক্তি সমিতি আকারে কিনে তা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারবেন।

উচ্চগতির জন্য স্টারলিংক জনপ্রিয়। বলা হয়, প্রত্যন্ত বা দুর্গম অঞ্চল, যেখানে প্রথাগত ইন্টারনেট সেবা পৌঁছাতে পারে না, সেখানে স্টারলিংক সহজেই সেবা দিতে পারে। স্টারলিংকে সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস (মেগাবিট পার সেকেন্ড) গতিতে আনলিমিটেড (সীমাহীন) ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।