১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

দেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৯:৫১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
  • 29

স্টারলিংক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে প্রতিষ্ঠানটির এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

দেশে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, স্টারলিংক অফিসিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে তারা ফোন কলে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং আজ (মঙ্গলবার) সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে যাত্রা শুরু করছে– স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। প্যাকেজগুলোর মাসিক খরচ যথাক্রমে ৬০০০ টাকা ও ৪ হাজার ২০০ টাকা। তবে সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪২ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে স্টার লিংকের যাত্রা শুরুতে স্যারের (প্রধান উপদেষ্টার) প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো। এটি কিছুটা খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

লাইসেন্স হস্তান্তর

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল নন জিওষ্টেশনারি স্যাটেলাইট অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেডের অনুকূলে লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বিটিআরসি হতে প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে ‘ননজিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট অরবিট অপারেটর লাইসেন্স’ ও ‘রেডিও কমিউনিকেশন অ্যাপারেটার্স লাইসেন্স’ নামে দুটি পৃথক লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়।

প্রথম লাইসেন্সটি হস্তান্তর করা হয় বিটিআরসির লাইসেন্সিং বিভাগ থেকে, যার মাধ্যমে স্টারলিংক বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে এবং দ্বিতীয় লাইসেন্সটি হস্তান্তর করা হয় বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগ থেকে, যার আওতায় ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য অনুমোদিত তরঙ্গ ব্যবহার করাসহ বেতার যন্ত্র ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ আমদানি, ও ব্যবহার করতে পারবে।

প্রথম লাইসেন্সটি লাইসেন্সিং বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল সৈয়দ মো. তৌফিকুল ইসলাম স্টারলিংক গ্লোবাল লাইসেন্সিং এন্ড মার্কেট এভিয়েশন এর পরিচালক রেবেকা স্লিক হান্টার এর নিকট হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু এবং উপপরিচালক মো নাহিদুল হাসান।

অপরদিকে দ্বিতীয় লাইসেন্সটি রেবেকা স্লিক হান্টার এর নিকট হস্তান্তর করেন স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানা । এ সময় স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক এবং সিনিয়র সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাকারিয়া ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১০ বছরের মেয়াদে বিটিআরসি হতে স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেডের অনুকূলে এই লাইসেন্স প্রদান করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

দেশে স্টারলিংকের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

সর্বশেষ আপডেট : ০৯:৫১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। মঙ্গলবার (২০ মে) সকালে প্রতিষ্ঠানটির এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

দেশে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, স্টারলিংক অফিসিয়ালি বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে তারা ফোন কলে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে এবং আজ (মঙ্গলবার) সকালে তাদের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে যাত্রা শুরু করছে– স্টারলিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। প্যাকেজগুলোর মাসিক খরচ যথাক্রমে ৬০০০ টাকা ও ৪ হাজার ২০০ টাকা। তবে সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪২ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে। এখানে কোনো স্পিড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন। এর মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে স্টার লিংকের যাত্রা শুরুতে স্যারের (প্রধান উপদেষ্টার) প্রত্যাশাটি বাস্তবায়িত হলো। এটি কিছুটা খরুচে হলেও এর মাধ্যমে প্রিমিয়াম গ্রাহকদের জন্য উচ্চমান এবং উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির টেকসই বিকল্প তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণের সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন।

বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বলেও জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

লাইসেন্স হস্তান্তর

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল নন জিওষ্টেশনারি স্যাটেলাইট অরবিট (এনজিএসও) স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেডের অনুকূলে লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বিটিআরসি হতে প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে ‘ননজিওস্টেশনারি স্যাটেলাইট অরবিট অপারেটর লাইসেন্স’ ও ‘রেডিও কমিউনিকেশন অ্যাপারেটার্স লাইসেন্স’ নামে দুটি পৃথক লাইসেন্স হস্তান্তর করা হয়।

প্রথম লাইসেন্সটি হস্তান্তর করা হয় বিটিআরসির লাইসেন্সিং বিভাগ থেকে, যার মাধ্যমে স্টারলিংক বাংলাদেশে তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে এবং দ্বিতীয় লাইসেন্সটি হস্তান্তর করা হয় বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগ থেকে, যার আওতায় ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য অনুমোদিত তরঙ্গ ব্যবহার করাসহ বেতার যন্ত্র ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ আমদানি, ও ব্যবহার করতে পারবে।

প্রথম লাইসেন্সটি লাইসেন্সিং বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল সৈয়দ মো. তৌফিকুল ইসলাম স্টারলিংক গ্লোবাল লাইসেন্সিং এন্ড মার্কেট এভিয়েশন এর পরিচালক রেবেকা স্লিক হান্টার এর নিকট হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু এবং উপপরিচালক মো নাহিদুল হাসান।

অপরদিকে দ্বিতীয় লাইসেন্সটি রেবেকা স্লিক হান্টার এর নিকট হস্তান্তর করেন স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক ড. মো. সোহেল রানা । এ সময় স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আমিনুল হক এবং সিনিয়র সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জাকারিয়া ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১০ বছরের মেয়াদে বিটিআরসি হতে স্টারলিংক সার্ভিসেস বাংলাদেশ লিমিটেডের অনুকূলে এই লাইসেন্স প্রদান করা হয়।