চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে অবস্থিত র্যাব-৭-এর ব্যাটালিয়ন সদর দফতর থেকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে তার মরদেহের পাশে একটি চিরকুটি পাওয়া যায়। বুধবার (০৭ মে) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তার কক্ষ থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়েছে। যেখানে লেখা আছে তার আত্মহননের কথা।
চিরকুট
পলাশের এ মৃত্যু বেশ চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। তার রেখে যাওয়া চিরকুট অনুযায়ী, পারিবারিক কলহের জের ধরেই নিজের জীবন দিয়েছেন তিনি। চিরকুটে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না; আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।’
আরও পড়ুন : বয়স লুকাতে কী করেছেন দীপিকা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মৃত্যু পরবর্তী ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে যা মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। এএসপি পালাশের আত্মহত্যার খবর প্রকাশ্যে আসতেই সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা শোক জানিয়েছেন। নেটদুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে মৃত্যুর আগে লেখা চিরকুট আর তার বহু অর্জনের স্মৃতি। এমন এক মৃত্যু কষ্ট দিয়েছে অভিনেতা জায়েদ খানকেও। তাই মার্কিন মুলুক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাইয়ের আত্নহত্যার খবরে শোক জানিয়ে এক পোস্ট করেছেন অভিনেতা।
জায়েদ খানের পোস্ট
নিজের পোস্টে জায়েদ খান লেখেন, ‘ছোট ভাই পলাশ।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হওয়াতে দেখা হলে ভালো লাগত। খুব ভালো ছেলে ছিল। দেখা হলেই হাসি দিয়ে বলতেন ভাইয়া চা খাবেন?’
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘ছেলেটা (পলাশ) আজকে পারিবারিক কলহের কারণে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে!’
পলাশ সাহা ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি আগে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) ছিলেন। সর্বশেষ র্যাব-৭-এ এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশি গ্রামে। র্যাব চান্দগাঁও কার্যালয়ের নিজ কক্ষ থেকে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।