আজকাল মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে একটি সাধারণ প্রশ্ন নিয়ে প্রায়ই আলোচনা করতে দেখা যায়— বাইকের জন্য অকটেন নাকি পেট্রোল কোনটি বেশি ভালো?
অনেকেরই ধারণা, অকটেন ব্যবহারে বাইকের গতি বেড়ে যায়, ইঞ্জিন মসৃণভাবে চলে। আবার কেউ কেউ বলেন, পেট্রোলই যথেষ্ট। অকটেন ব্যবহার মানেই শুধু শুধু খরচ বেশি করা।
তাহলে সত্যিটা কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক আপনার বাইকের জন্য কোনটি ব্যবহার বেশি ভালো হবে-
অকটেন নাকি পেট্রোল : বাইকের জন্য কোনটি ভালো
মোটরসাইকেল বিশেষজ্ঞদের মতে, বাইকের ইঞ্জিন যেভাবে ডিজাইন করা হয়, সেটিই নির্ধারণ করে দেয় কোন ফুয়েল উপযুক্ত। সাধারণত ১০০ সিসি থেকে ১৫০ সিসি বাইকের জন্য অকটেনের প্রয়োজন পড়ে না। এসব বাইকের ইঞ্জিন কম্প্রেশন রেশিও কম থাকে, ফলে পেট্রোলেই স্বাভাবিক পারফরম্যান্স দিতে পারে।
অন্যদিকে, হাই-পারফরম্যান্স বা রেসিং বাইক, যেমন ২০০ সিসির ওপরে যেগুলোর কম্প্রেশন রেশিও বেশি, সেগুলোর জন্য অকটেন ব্যবহার করা ভালো। অকটেন দহন প্রক্রিয়াকে আরও নিয়ন্ত্রিত করে, ফলে ইঞ্জিন হিট কমে এবং পারফরম্যান্স উন্নত হয়।
আরও পড়ুন : ৫ মিনিটের চার্জে ৫৬০ কিমি, গাড়ির দুনিয়ায় বড় চমক
তবে একটা ব্যাপার সবসময় মাথায় রাখতে হবে— কম সিসির বাইকে অকটেন ব্যবহার করলে ক্ষতি না হলেও বাড়তি কোনো উপকার মেলে না। উল্টো, কিছু ক্ষেত্রে অকটেনের রাসায়নিক উপাদান ইঞ্জিনে কার্বন জমার আশঙ্কা বাড়াতে পারে।
অকটেন-পেট্রোলে দামে পার্থক্য
এছাড়া পেট্রোল ও অকটেনের দামেও কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বর্তমানে বাজারে অকটেনের দাম প্রতি লিটারে প্রায় ১২৬ টাকা, যেখানে পেট্রোলের দাম প্রায় ১২২ টাকা।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) এক কর্মকর্তার মতে, ‘যে, বাইকের ম্যানুফ্যাকচারার নির্দেশনা অনুযায়ী পেট্রোল ব্যবহারই যথেষ্ট, সেখানে অকটেন দিয়ে বেশি কিছু পাওয়া যায় না। বরং দীর্ঘ মেয়াদে অকটেন ব্যবহার ইঞ্জিনে প্রভাব পড়তে পারে।’