চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার ঝকঝকে ইনিংসের ওপর ভর করেই প্রথম ইনিংসে ২২৩ রানের লিড নিয়েছে বাংলাদেশ।
২২৩ রানের লিড বাংলাদেশের
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সাগরিকার বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের ২২৭ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অলআউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে তুলেছে ৪৪৪ রান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১৬২ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১০৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন মিরাজ। জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত লেগস্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা পান ৫ উইকেট।
তৃতীয় দিনের শুরুটা বাংলাদেশ করেছিল ২৯১ রান নিয়ে, হাতে ছিল ৩টি উইকেট। শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে ছিলেন মিরাজ। তিনি তার দায়িত্বটা সামলেছেন দারুণভাবে। লোয়ার মিডল অর্ডারদের নিয়ে লড়েছেন, নিজে তুলে নিয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। তাতেই বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে জমা করেছে আরও ১৫৩ রান। লিডটা ৬৪ থেকে গিয়ে ঠেকেছে ২১৭ রানে।
আরও পড়ুন : ‘এভাবে যাওয়া যায় না, হাঁটব কীভাবে’ ক্রিকেটার নাসিরকে তামিমা
তৃতীয় দিনের সকালের সেশনে একটা উইকেটই খুইয়েছে বাংলাদেশ। সেটাও তাইজুল ইসলামের। ৪৫ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে ভিনসেন্ট মাসেকেসার চতুর্থ শিকার হয়ে ফিরেছেন তিনি। তিনি স্টাম্পড হওয়ার ফলে ভাঙে অষ্টম উইকেটে মেহেদি হাসান মিরাজের সঙ্গে তার গড়া ৮৪ বলে ৬৩ রানের জুটি।
তবে নবম উইকেটেও তানজিম হাসান সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে ফেলেন মিরাজ। নিজেও তুলে নেন ক্যারিয়ারের দশম টেস্ট ফিফটি। তিনি প্রথম সেশনটা শেষ করেন সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থেকে। দিনের দ্বিতীয় সেশনে যখনই একটু একটু করে এগিয়ে সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছুলেন, তখনই বিদায়ঘণ্টা বাজল তানজিম সাকিবের। তিনি ৮০ বলে ৪১ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে ১৫৬ বলে ৯৬ রানের জুটি।
এরপর একটুর জন্য শঙ্কাও তৈরি হয়েছিল মিরাজের সেঞ্চুরি নিয়ে। তবে সে শঙ্কা উড়িয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা তুলে নেন তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি পান মিরাজ। অবশ্য সেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মিরাজ। ১২৯.২ ওভারে স্পিনার মাসেকেসাকে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। তবে বাংলাদেশ ততক্ষণে পেয়ে গেছে বিশাল এক লিড।