সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির সোমবার (২১ এপ্রিল) এ তথ্য জানান। তিনি ব্যারিস্টার রাজ্জাকের সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর ১১ বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। এরপর সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় আবারো কাজ শুরু করেন। গত ৬ জানুয়ারি জুনিয়র আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনে তাকে সংবর্ধনা দেন।
এক নজরে ব্যারিস্টার রাজ্জাক
ব্যারিস্টার রাজ্জাক এক সময় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিনি দেশ ত্যাগ করে যুক্তরাজ্যে চলে যান। এর আগে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের পক্ষে আইন লড়াই করেন।
যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে, ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াত থেকে পদত্যাগ করেন। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান তখন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তার পদত্যাগে আমরা মর্মাহত হলেও, এটি তার ব্যক্তিগত অধিকার। আমরা তার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করি।’
পরে ব্যারিস্টার রাজ্জাক ‘আমার বাংলাদেশ পার্টি’র (এবি পার্টি) প্রধান উপদেষ্টা হন। তবে ক্ষমতার পালাবদলের পর ২০২৫ সালের ১৭ আগস্ট সেই পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি।
দেশে ফিরে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘আমি একজন কোর্ট রুম ব্যারিস্টার। আমি আইন পেশায় থেকেই দেশের জন্য কাজ করতে চাই। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলে রাজনীতি ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন দুটোই সম্ভব হবে।’
আরও পড়ুন : পাহাড়ে অপহৃতদের উদ্ধারে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান, যা ঘটল
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট ও জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের আইনজীবী ছিলেন।
ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের জন্ম ১৯৪৪ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে। বিএ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। দেশে ফিরে ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯০ সালে তিনি দ্য ল’ কাউন্সেল নামে একটি আইনি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন।