১২:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখতে ৫টি সেরা উপায়

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৭:৪৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • 13

জীবনে ভালো থাকতে সব বিবাহিত দম্পতি তাদের বিয়ের বন্ধন শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শের খোঁজ করেন। যখন বোঝাপড়ার চেয়ে ঝগড়াঝাটি বেড়ে যায়, তখন দম্পতিরা সাধারণ বিয়ে সংক্রান্ত উপদেশ মেনে সমস্যা সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে।

কিন্তু স্টেরিওটাইপিক্যাল পরামর্শ সবসময় সহায়ক হয় না, বিশেষ করে যদি সমস্যাটি বড় এবং জটিল হয়। নতুন দম্পতিদের বিয়ে সংক্রান্ত উপদেশগুলো মন দিয়ে মানতে হবে, যা তাদের অত্যন্ত সাহায্য করবে। দম্পত্তিরা সম্ভবত আগে শোনেনি, এমন কিছু কার্যকরী পরামর্শ এখানে প্রকাশ করা হলো-

কার্যকরী পরামর্শ

উদ্দেশ্য : কাজ কিংবা কথা নয়, এর পেছনের উদ্দেশ্য দেখুন। সব সময় মনে রাখুন এবং ধরে নিন যে আপনার সঙ্গী আপনাকে আঘাত করার মতো কিছু করবে না। এতে হতাশা, দোষারোপ এবং অপরাধবোধ অনেকাংশে কমে যাবে। আপনার সঙ্গীর সব কাজ ইচ্ছাকৃত নয় তা জানা থাকলে ঝগড়াঝাটির সময় বলা কথা নিয়ে পরবর্তীতে ঝামেলা হবে না। যদি জানেন যে তিনি আপনার প্রতি ইতিবাচক, তবে তাকে ক্ষমা করাও সহজ হবে।

অর্থ নিয়ে ঝগড়া নয় : টাকা নিয়ে ঝগড়া করবেন না। দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়াঝটির সবচেয়ে বড় কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো অর্থ। দম্পতিরা একে অপরের ব্যয়ের অভ্যাস নিয়ে ঝগড়া করার বদলে দুজন মিলে সমাধান খুঁজতে পারে। এতে দুজনেরই কিছু কিছু ছাড় দিতে হতে পারে। তবে দিনশেষে সম্পর্ক সুন্দর থাকবে।

আরও পড়ুন : কোন বয়সে পুরুষ-মহিলাদের ওজন কত হওয়া উচিৎ? চার্ট মিলিয়ে নিন

কৃতজ্ঞতা দেখাতে হবে : দম্পতিদের একে অপরের প্রতি আরও কৃতজ্ঞতা দেখাতে হবে, এমনকি ঝগড়াঝাটি করে বা তর্ক করার সময়েও। একসাথে খারাপ এবং ভালো মুহূর্তগুলোকে সমানভাবে উপলব্ধি করতে শিখুন। এটি বুঝতে সাহায্য করে যে বিয়ের সম্পর্ক সফল হতে উভয় পক্ষের সমর্থন ও পরিশ্রম থাকা চাই।

ছাড় দেওয়া : কখনও কখনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনকে ছাড় দিতে হতে পারে। একজনই সব সময় প্রভাব ধরে রাখতে পারে না। দক্ষতার ওপর নির্ভর করে দায়িত্বের বন্টন করা যেতে পারে। সম্পর্কে ভালোবাসা থাকলে একে অপরকে প্রাধান্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে না।

সময় কাটানো : স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের সঙ্গে আরও বেশি করে সময় কাটানো উচিত। এটি অনুভূতির ভুল ব্যাখ্যার সম্ভাবনা হ্রাস করে। ক্লান্তিকর দিনের পরে যখন তার কাঁধে হাত রেখে জিজ্ঞেস করবেন, দিনটি কেমন ছিল? তখন সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার অনুভূতি প্রকাশ করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো রাখতে ৫টি সেরা উপায়

সর্বশেষ আপডেট : ০৭:৪৩:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

জীবনে ভালো থাকতে সব বিবাহিত দম্পতি তাদের বিয়ের বন্ধন শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শের খোঁজ করেন। যখন বোঝাপড়ার চেয়ে ঝগড়াঝাটি বেড়ে যায়, তখন দম্পতিরা সাধারণ বিয়ে সংক্রান্ত উপদেশ মেনে সমস্যা সমাধানের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে।

কিন্তু স্টেরিওটাইপিক্যাল পরামর্শ সবসময় সহায়ক হয় না, বিশেষ করে যদি সমস্যাটি বড় এবং জটিল হয়। নতুন দম্পতিদের বিয়ে সংক্রান্ত উপদেশগুলো মন দিয়ে মানতে হবে, যা তাদের অত্যন্ত সাহায্য করবে। দম্পত্তিরা সম্ভবত আগে শোনেনি, এমন কিছু কার্যকরী পরামর্শ এখানে প্রকাশ করা হলো-

কার্যকরী পরামর্শ

উদ্দেশ্য : কাজ কিংবা কথা নয়, এর পেছনের উদ্দেশ্য দেখুন। সব সময় মনে রাখুন এবং ধরে নিন যে আপনার সঙ্গী আপনাকে আঘাত করার মতো কিছু করবে না। এতে হতাশা, দোষারোপ এবং অপরাধবোধ অনেকাংশে কমে যাবে। আপনার সঙ্গীর সব কাজ ইচ্ছাকৃত নয় তা জানা থাকলে ঝগড়াঝাটির সময় বলা কথা নিয়ে পরবর্তীতে ঝামেলা হবে না। যদি জানেন যে তিনি আপনার প্রতি ইতিবাচক, তবে তাকে ক্ষমা করাও সহজ হবে।

অর্থ নিয়ে ঝগড়া নয় : টাকা নিয়ে ঝগড়া করবেন না। দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়াঝটির সবচেয়ে বড় কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো অর্থ। দম্পতিরা একে অপরের ব্যয়ের অভ্যাস নিয়ে ঝগড়া করার বদলে দুজন মিলে সমাধান খুঁজতে পারে। এতে দুজনেরই কিছু কিছু ছাড় দিতে হতে পারে। তবে দিনশেষে সম্পর্ক সুন্দর থাকবে।

আরও পড়ুন : কোন বয়সে পুরুষ-মহিলাদের ওজন কত হওয়া উচিৎ? চার্ট মিলিয়ে নিন

কৃতজ্ঞতা দেখাতে হবে : দম্পতিদের একে অপরের প্রতি আরও কৃতজ্ঞতা দেখাতে হবে, এমনকি ঝগড়াঝাটি করে বা তর্ক করার সময়েও। একসাথে খারাপ এবং ভালো মুহূর্তগুলোকে সমানভাবে উপলব্ধি করতে শিখুন। এটি বুঝতে সাহায্য করে যে বিয়ের সম্পর্ক সফল হতে উভয় পক্ষের সমর্থন ও পরিশ্রম থাকা চাই।

ছাড় দেওয়া : কখনও কখনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজনকে ছাড় দিতে হতে পারে। একজনই সব সময় প্রভাব ধরে রাখতে পারে না। দক্ষতার ওপর নির্ভর করে দায়িত্বের বন্টন করা যেতে পারে। সম্পর্কে ভালোবাসা থাকলে একে অপরকে প্রাধান্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে না।

সময় কাটানো : স্বামী-স্ত্রীর একে অপরের সঙ্গে আরও বেশি করে সময় কাটানো উচিত। এটি অনুভূতির ভুল ব্যাখ্যার সম্ভাবনা হ্রাস করে। ক্লান্তিকর দিনের পরে যখন তার কাঁধে হাত রেখে জিজ্ঞেস করবেন, দিনটি কেমন ছিল? তখন সে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার অনুভূতি প্রকাশ করবে।