১২:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

‘মার্চ ফর গাজা’ অংশগ্রহণ নিয়ে মাওলানা সাইফুল্লাহর আবেগঘন স্ট্যাটাস

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ১১:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • 15

ফিলিস্তিনের গাজায় “চলমান গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে” প্রতিবাদ জানাতে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। নানা রকম পোস্টার, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকাসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেয়। পরে ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে শেষ হয় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এ গণজমায়েত কর্মসূচি।

এদিকে গাজা সংহতি কর্মসূচি ‘মার্চ ফর গাজা’য় পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণ নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

শনিবার রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুকে আইডিতে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন তিনি।

আরও পড়ুন : পহেলা বৈশাখে বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব সড়ক

পোস্টে তিনি বলেছেন, বাসায় ফিরে শুনি, আমার তিন মেয়ে তাদের মায়ের সাথে ফ্ল্যাগ হাতে রাস্তায় গিয়েছিল। ফিরে এসে তারা চোখ-মুখে আবেগ নিয়ে জানাল, কীভাবে মানুষের তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ভালোবাসার ঢেউ তারা দেখেছে। আজকের প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া ছিল না শুধু হাঁটা বা উপস্থিতি—প্রচণ্ড রোদে বাইরে বের হওয়াটাও ছিল একধরনের ত্যাগ। আয়োজনের খরচটাও কম ছিল না। তখন নিজের মনেই ভাবছিলাম—আসলে কী অর্জন হলো? এই টাকাটা কি অন্য কোথাও খরচ হলে বেশী লাভ হতো?

মাওলানা সাইফুল্লাহ বলেন, বাচ্চাদের মাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কী বলো?’ সে চুপচাপ ফোনে একটা ভিডিও দেখাল—আমার ছোট ছোট মেয়েরা ঘরে দাঁড়িয়ে স্লোগানে কাঁপিয়ে তুলছে, ‘ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, হাইফা-ইলাত নিপাত যাক!’ সে বললো, ‘এই কচি অন্তরের আগামীর বোধই বা কম কিসে?’

প্রোগ্রামের অ্যাচিভমেন্টে নিয়ে তিনি বলেন, তখন মনে হলো—আজকের এই প্রোগ্রামের আসল অ্যাচিভমেন্ট ছিল এই বোধের জন্ম, এই স্পর্শ, এই হৃদয়ে পৌঁছানো। আসলে আপনারা কী ভাবছেন? কী লাভ হলো? আপনার দৃষ্টিভঙ্গি শুনতে চাই, জানতে চাই আপনাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত- কী পেলাম আজকে?

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

‘মার্চ ফর গাজা’ অংশগ্রহণ নিয়ে মাওলানা সাইফুল্লাহর আবেগঘন স্ট্যাটাস

সর্বশেষ আপডেট : ১১:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনের গাজায় “চলমান গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে” প্রতিবাদ জানাতে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। নানা রকম পোস্টার, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকাসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ এতে অংশ নেয়। পরে ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে শেষ হয় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এ গণজমায়েত কর্মসূচি।

এদিকে গাজা সংহতি কর্মসূচি ‘মার্চ ফর গাজা’য় পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণ নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।

শনিবার রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুকে আইডিতে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন তিনি।

আরও পড়ুন : পহেলা বৈশাখে বন্ধ থাকবে রাজধানীর যেসব সড়ক

পোস্টে তিনি বলেছেন, বাসায় ফিরে শুনি, আমার তিন মেয়ে তাদের মায়ের সাথে ফ্ল্যাগ হাতে রাস্তায় গিয়েছিল। ফিরে এসে তারা চোখ-মুখে আবেগ নিয়ে জানাল, কীভাবে মানুষের তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ভালোবাসার ঢেউ তারা দেখেছে। আজকের প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া ছিল না শুধু হাঁটা বা উপস্থিতি—প্রচণ্ড রোদে বাইরে বের হওয়াটাও ছিল একধরনের ত্যাগ। আয়োজনের খরচটাও কম ছিল না। তখন নিজের মনেই ভাবছিলাম—আসলে কী অর্জন হলো? এই টাকাটা কি অন্য কোথাও খরচ হলে বেশী লাভ হতো?

মাওলানা সাইফুল্লাহ বলেন, বাচ্চাদের মাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুমি কী বলো?’ সে চুপচাপ ফোনে একটা ভিডিও দেখাল—আমার ছোট ছোট মেয়েরা ঘরে দাঁড়িয়ে স্লোগানে কাঁপিয়ে তুলছে, ‘ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, হাইফা-ইলাত নিপাত যাক!’ সে বললো, ‘এই কচি অন্তরের আগামীর বোধই বা কম কিসে?’

প্রোগ্রামের অ্যাচিভমেন্টে নিয়ে তিনি বলেন, তখন মনে হলো—আজকের এই প্রোগ্রামের আসল অ্যাচিভমেন্ট ছিল এই বোধের জন্ম, এই স্পর্শ, এই হৃদয়ে পৌঁছানো। আসলে আপনারা কী ভাবছেন? কী লাভ হলো? আপনার দৃষ্টিভঙ্গি শুনতে চাই, জানতে চাই আপনাদের অভিজ্ঞতা ও মতামত- কী পেলাম আজকে?