ঢাকার বায়ূর মানে কিছুটা স্বস্থি ফিরে এসেছে। গত কয়েকদিন যাবৎ তিলত্তমা এ শহরটির বাতাস মধ্যম পর্যায় রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী, বাতাসের মান ৭১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৪২তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
একই সময় ১৮৯ স্কোর নিয়ে প্রথম স্থানে আছে ভারতের দিল্লি এবং ১৭৮ স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর। পাশাপাশি ১৭১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়।
আরো পড়ুন: দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।