শরীর ক্লান্ত হলেই আমরা প্রায় বলি একটু ঘুমিয়ে নিলে সব ঠিক হয়ে যাবে। মাঝে মধ্যেেএ পদ্ধতিতে ঘুম নাও আসতে পারে। বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করে রাত কেটে যায় অনেকের। সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনির পরও দু’চোখের পাতা এক হয় না।
কিন্তু ক্লান্তিতে যেখানে অঘোরে ঘুম হওয়ার কথা, সেখানে অনিদ্রায় রাত কাটে কেন? জেনে নিন এর কারণ:
১. শরীর প্রচণ্ড ক্লান্ত হলে মানসিক স্বাস্থ্য়ের উপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে শরীরের স্বাভাবিক ছন্দ আর থাকে না। এতে সহজে ঘুম হয় না।
২. শরীরে যতই ক্লান্তি থাক না কেন, মাথার মধ্যে হাজার চিন্তা ঘুরলে ঘুম হওয়ার কথা নয়। এতে শরীর এবং মস্তিষ্ক কার্যত যুদ্ধ করে পরস্পরের সঙ্গে। এ জন্যও সহজে ঘুম আসতে চায় না।
৩. দেখা যায় অনেকক্ষণ শুয়ে থাকার পরেও তন্দ্রাভাব পর্যন্ত আসে না আমাদের। ঘুমাতে চাইলেও, নানা রকমের ভাবনা ভর করে মনে। হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, শ্বাস পড়ে ঘন ঘন। ঘুমাতে পারি না।
আরো পড়ুন: খালি পেটে যে সব খাবার এবং পানীয় খাওয়া উচিৎ নয়
৪. দৈনন্দিন জীবন যাপন যেমন হয়, শরীর তার সঙ্গে সহজাত হয়ে ওঠে। রাতাজাগার অভ্যাস যদি থাকে, তাহলে যত ক্লান্তই হন না কেন, নির্ধারিত সময়ের আগে ঘুম আসবে না।
৫. প্রথমেই তাই নিজের শরীরকে বুঝতে হবে। সঠিক সময়ে ঘুমাতে চাইলে মন হালকা রাখুন। এমনি এমনি সম্ভব নয়। যত ক্লান্তিই থাকুক, বিছানায় ওঠার আগে ধ্য়ান করুন। চিন্তা ভর করতে দেবেন না মাথায়।
৬. ঘুমাতে যাওয়ার সময় ফোন, ল্যাপটপ, এমনকি টিভিও চালাবেন না। এতেও শরীরের সময়জ্ঞান ঘেঁটে যায়।
৭. ঘুমানোর আগে স্নান করলে সহজে চোখের পাতা এক হয়। খুব ভারী খাবার খাবেন না রাতে। ক্য়াফিন যুক্ত পানীয়, সুরা এড়িয়ে চলুন।
সবশেষ রোজ একই সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এতে অভ্যাস হয়ে যাবে শরীরের। তবে কিছুতেই কিছু না হলে অবশ্যই চিকিৎসা করান। ডিসক্লেইমার : প্রতিবেদনে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন। এতে করে আপনার সমস্যা অনেকটাই কেটে যাবে আশা করা যায়।