ঈদের ছুটিতে শহর ঢাকার বাতাসের মানে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। যেখানে রাজধানীর বাতাসে মান প্রতিনিয়তই প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে দেখা যায়, সেখানে টানা দুদিন যাবত বাতাসে মান অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ১৪ ও ১৫ তম তালিকায় নেমে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৯মিনিটে ১১০ একিউআই স্কোর নিয়ে শহরটি দূষণের তালিকায় ১৫তম। বায়ুর মান ও দূষণের শহরের অবস্থান অনুযায়ী ঢাকার বাতাসকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
ইরাকের বাগদাদ, নেপালের কাঠমান্ডু, ভারতের দিল্লি এবং পাকিস্তানের লাহোর যথাক্রমে ৬৪৭, ৩৭৫, ১৯৯ এবং ১৭২ এডিকউআই স্কোর সহ প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে।
যখন কণা দূষণের একিউআই মান ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকে তখন বায়ুর গুণমানকে ’মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ’সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ’অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ’খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ’বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এর বায়ুর গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।