কোরবানি শব্দটি বাংলায় ব্যবহৃত বহুল প্রচলিত আরবি ভাষার একটি শব্দ। অর্থ নিকটবর্তী হওয়া, সান্নিধ্য লাভ করা।
যেহেতু কোরবানির বাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে- বিধায় এটাকে কোরবানি বলে। কোরবানি যখন একমাত্র আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করার নিমিত্তে হবে তখন এ কোরবানি নাজাতের কারণ হবে। পক্ষান্তরে যদি উদ্দেশ্য ভিন্ন হয় যথা, লোক দেখানো কিংবা গোশত খাওয়া তখন তা দ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চিন্তা অবাস্তব। আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে, ‘অর্থাৎ আল্লাহর নিকট কোরবানির গোশত বা রক্ত পৌঁছে না, কেবল তোমাদের আন্তরিকতা বা তাকওয়া পৌঁছে। ’ -সূরা হজ : ৩৭
কোরবানির সময় শরিকদের নাম বলতে হবে কি না
এবার কোরবানির সময় শরিকদের নাম বলতে হবে কি না—এমন একটি প্রশ্নের জবাবে প্রখ্যাত ইসলামি বক্তা শায়খ আহমাদুল্লাহ স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি বলেন, কোরবানির পশুতে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তির নাম জবাইয়ের সময় বলা আবশ্যক নয়।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘যখন সাতজন বা এর কমসংখ্যক ব্যক্তি একটি গরু কোরবানি দেন এবং প্রত্যেকের নির্দিষ্ট অংশ থাকে, তখন আল্লাহ তায়ালা তাঁদের নিয়ত সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত। তাই নাম উচ্চারণ না করলেও কোরবানি সহিহ হবে।’
আরও পড়ুন : কার সঙ্গে ভাগে কোরবানি দেওয়া যাবে না
তবে তিনি জানান, কোরবানির পর বলা সুন্নত—‘আল্লাহ! এই কোরবানি অমুক, অমুক ও অমুক ব্যক্তির তরফ থেকে আপনি কবুল করে নিন।’ এরকম করে বলা উত্তম, তবে না বললেও কোরবানিতে কোনো সমস্যা হয় না। এমনকি সংক্ষেপেও বলা যেতে পারে—‘হে আল্লাহ! আমরা যারা এই কোরবানিতে শরিক হয়েছি, সবার তরফ থেকে আপনি কবুল করে নিন।’
তিনি আরও বলেন, কোরবানিতে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি হিস্যা যেন নির্দিষ্ট একজনের হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। একটি শেয়ারে একাধিক ব্যক্তি শরিক হওয়া শরিয়তসম্মত নয়।
সুতরাং, কোরবানির সময় শরিকদের নাম না বললেও কোরবানি সহিহ হবে—এটাই ইসলামের স্পষ্ট দিকনির্দেশনা। তবে মুস্তাহাব হিসেবে নাম উল্লেখ করে দোয়া করা উত্তম।