আলোচিত পেহেলগামে হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের ছয়টি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার (০৬ মে) গভীর রাতে এ হামলায় দুই শিশুসহ ৩১ জন নিহত ও ৫৭ জন আহত হয়েছে। জবাবে রাতেই পাকিস্তানের বিমানবাহিনী তাৎক্ষণিক পাল্টা হামলা চালায় । তারা ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গোলাবর্ষণ করে। এতে ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৩ জন আহত হয় বলে জানায় ভারতের সেনাবাহিনী।
ইসলামাবাদের দাবি, তারা হামলায় অংশ নেওয়া ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এ ছাড়া কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি ব্রিগেডের সদরদপ্তর ও তল্লাশিচৌকি গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
পাকিস্তানের ১২৫টি যুদ্ধবিমান পাল্টা হামলায় অংশ নেয়
পাকিস্তানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দুদেশের বিমানের মধ্যে প্রায় এক ঘণ্টা ডগ ফাইট (সম্মুখ লড়াই) হয়। আর এ যুদ্ধকে আধুনিক সময়ের সবচেয়ে ‘বড় এবং দীর্ঘ ডগ ফাইট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ১২৫টি যুদ্ধবিমান পাল্টা হামলায় অংশ নেয়। তবে দুই দেশের কোনো বিমানই একে অপরের অংশে প্রবেশ করেনি।
তিনি বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারতীয় বিমানের মধ্যে ১৬০ কিলোমিটার দূর থেকে মিসাইল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন : প্রতি ফোঁটা রক্তের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর
এ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, পাকিস্তানে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ভারতের বিমানকে একাধিকবার চেষ্টা করতে হয়েছে। এ সময় সম্ভাব্য হামলাস্থলের সাধারণ মানুষকে যথাসম্ভব সতর্ক করার চেষ্টা করেছে পাক সেনাবাহিনী। এতে তারা হতাহতের সংখ্যা অনেকটা কমিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালে দুই দেশের যুদ্ধবিমানের মধ্যে ডগফাইট হয়েছিল। সেবার এক ভারতীয় বিমান নিজেদের ভূখণ্ডে ভূপাতিত করেছিল পাকিস্তান। ওই সময় অভিনন্দন নামে এক পাইলটকে আটক করে তাকে জনসম্মুখে আনা হয়েছিল।
সূত্র: সিএনএন