০৯:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

বাড়িতেই বানিয়ে নিন শরবত, গরমে ফিরে জুড়াবে প্রাণ

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৬:১৩:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • 14

শরবত। ছবি: সংগৃহীত

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে, রাস্তায় বেরোলেই শরীর খারাপ লাগছে। তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে, লু বইছে এখনই। এই গরমে বাইরে থাকলে ঠান্ডা পানীয় দিয়েই গলা ভেজাতে ইচ্ছে করে। অনেকেই জলের তুলনায় নরম পানীয় খাওয়ার মাত্রা বাড়িয়ে দেন। কিন্তু রাস্তায় বিক্রি হওয়া যে কোনও ঠান্ডা পানীয়ই শরীরের জন্য বিষ। ছোটদের জন্য তো বটেই। গ্রীষ্মের দুপুরে তাই বাড়িতেই বানিয়ে নিন মনের মতো শরবত।

বাজারে এখন কাঁচামিঠে আমের ছড়াছড়ি। সেই আমের চাটনি, আমডাল এবং টক-মিষ্টি আচার খেতেও মন্দ লাগে না। তবে গরমে বাঙালির প্রিয় আম পান্না। এই গরমে বাইরে থেকে ফিরে এক গ্লাস আম পান্না খাওয়ার আরামই আলাদা। কাঁচা আমের সুঘ্রাণেই মন ভরে যায়। গ্রীষ্ম মানেই নানা রকম ফল। তরমুজ, আনারসও দেদার বিক্রি হচ্ছে। টাটকা ফল দিয়ে তৈরি শরবত যেমন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে, তেমনই শরীরে জলের ঘাটতিও পূরণ করবে।

আম পান্না

উপকরণ:

২টি কাঁচা আম

৫ চা-চামচ চিনি

১ চামচ ভাজা জিরেগুঁড়ো

আধ চা-চামচ বিটনুন

২ কাপ জল

প্রয়োজনমতো বরফের টুকরো

আম পান্না

প্রণালী

গ্যাসের আগুনে দুটো কাঁচা আম প্রথমে ভাল করে পুড়িয়ে নিতে হবে। নরম হয়ে এলে খোসা ছাড়িয়ে আমের ক্বাথ বার করে অন্য একটি পাত্রে রাখুন। অথবা প্রেশার কুকারে আম সেদ্ধও করে নিতে পারেন। এ বার পোড়ানো বা সেদ্ধ করা আমের ক্কাথ ভাজা, জিরেগুঁড়ো, বিটনুন এবং জল একসঙ্গে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমপান্না। উপর থেকে বিটনুন ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

তরমুজের শরবত

উপকরণ

২ কাপ তরমুজের টুকরো

১০টি পুদিনাপাতা

১ চা-চামচ পাতিলেবুর রস

১ কাপ ডাবের জল

তরমুজের শরবত

প্রণালী

সমস্ত উপকরণ মিক্সিতে বেটে নিতে হবে। এ বার ছেঁকে নিয়ে তাতে বিটনুন, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে দোকানের মতো শরবত।

আনারসের ডিটক্স ড্রিঙ্ক

২ কাপ আনারসের টুকরো

অর্ধেকটা পাতিলেবুর রস

১ চা-চামচ আদাকুচি

১ কাপ জল

আনারসের ডিটক্স ড্রিঙ্ক

প্রণালী

সমস্ত উপকরণ মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এ বার ছেঁকে নিয়ে উপর থেকে বিটনুন ও পুদিনাপাতা ছড়িয়ে দিলেই আনারসের ডিটক্স ড্রিঙ্ক তৈরি হয়ে যাবে। এই শরবত খেলে ডিহাইড্রেশনের ভয় থাকবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

বাড়িতেই বানিয়ে নিন শরবত, গরমে ফিরে জুড়াবে প্রাণ

সর্বশেষ আপডেট : ০৬:১৩:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গরম। শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে, রাস্তায় বেরোলেই শরীর খারাপ লাগছে। তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে, লু বইছে এখনই। এই গরমে বাইরে থাকলে ঠান্ডা পানীয় দিয়েই গলা ভেজাতে ইচ্ছে করে। অনেকেই জলের তুলনায় নরম পানীয় খাওয়ার মাত্রা বাড়িয়ে দেন। কিন্তু রাস্তায় বিক্রি হওয়া যে কোনও ঠান্ডা পানীয়ই শরীরের জন্য বিষ। ছোটদের জন্য তো বটেই। গ্রীষ্মের দুপুরে তাই বাড়িতেই বানিয়ে নিন মনের মতো শরবত।

বাজারে এখন কাঁচামিঠে আমের ছড়াছড়ি। সেই আমের চাটনি, আমডাল এবং টক-মিষ্টি আচার খেতেও মন্দ লাগে না। তবে গরমে বাঙালির প্রিয় আম পান্না। এই গরমে বাইরে থেকে ফিরে এক গ্লাস আম পান্না খাওয়ার আরামই আলাদা। কাঁচা আমের সুঘ্রাণেই মন ভরে যায়। গ্রীষ্ম মানেই নানা রকম ফল। তরমুজ, আনারসও দেদার বিক্রি হচ্ছে। টাটকা ফল দিয়ে তৈরি শরবত যেমন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে, তেমনই শরীরে জলের ঘাটতিও পূরণ করবে।

আম পান্না

উপকরণ:

২টি কাঁচা আম

৫ চা-চামচ চিনি

১ চামচ ভাজা জিরেগুঁড়ো

আধ চা-চামচ বিটনুন

২ কাপ জল

প্রয়োজনমতো বরফের টুকরো

আম পান্না

প্রণালী

গ্যাসের আগুনে দুটো কাঁচা আম প্রথমে ভাল করে পুড়িয়ে নিতে হবে। নরম হয়ে এলে খোসা ছাড়িয়ে আমের ক্বাথ বার করে অন্য একটি পাত্রে রাখুন। অথবা প্রেশার কুকারে আম সেদ্ধও করে নিতে পারেন। এ বার পোড়ানো বা সেদ্ধ করা আমের ক্কাথ ভাজা, জিরেগুঁড়ো, বিটনুন এবং জল একসঙ্গে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমপান্না। উপর থেকে বিটনুন ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

তরমুজের শরবত

উপকরণ

২ কাপ তরমুজের টুকরো

১০টি পুদিনাপাতা

১ চা-চামচ পাতিলেবুর রস

১ কাপ ডাবের জল

তরমুজের শরবত

প্রণালী

সমস্ত উপকরণ মিক্সিতে বেটে নিতে হবে। এ বার ছেঁকে নিয়ে তাতে বিটনুন, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে দোকানের মতো শরবত।

আনারসের ডিটক্স ড্রিঙ্ক

২ কাপ আনারসের টুকরো

অর্ধেকটা পাতিলেবুর রস

১ চা-চামচ আদাকুচি

১ কাপ জল

আনারসের ডিটক্স ড্রিঙ্ক

প্রণালী

সমস্ত উপকরণ মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এ বার ছেঁকে নিয়ে উপর থেকে বিটনুন ও পুদিনাপাতা ছড়িয়ে দিলেই আনারসের ডিটক্স ড্রিঙ্ক তৈরি হয়ে যাবে। এই শরবত খেলে ডিহাইড্রেশনের ভয় থাকবে না।