০৯:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

বানের পানির মতো মানুষ ছুটছে সোহরাওয়ার্দীতে

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০২:৩৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
  • 21

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢুকছে মানুষ। ছবি : সংগৃহীত

সারা দেশে থেকে বানের পানির মতো মানুষ ছুটে আসছে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তীব্র রোদ-গরমে কষ্ট করে ঢাকা আসার লক্ষ্য একটাই, ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলি নৃশংতার প্রতিবাদ।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

এই জমায়েতের ডাক দিয়েছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এই কর্মসূটি শুরু কথা থাকলেও সকাল থেকেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

শত শত ছোট মিছিল নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত দিয়ে মানুষ জড়ো হচ্ছে উদ্যানে।

কোনো মিছিল শাহবাগের দিক থেকে, কোনোটি দোয়েল চত্বরের দিক থেকে, কোনোটি আবার যাচ্ছে নীলক্ষেতের দিক থেকে।

কমূসূচি অনুযায়ী জোহরের নামাজের পর পরই দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অঙ্গনের শীর্ষ নেতারা মঞ্চে থাকবেন।

এর আগে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আগতদের সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটের সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা ও টি-শার্ট বিক্রি করছেন নাজমুল হোসাইন নামে এক ব্যাক্তি।

তিনি বলেন, এখানে এসেছি শুধু পতাকা বিক্রি করতে না, মুসলমানদের প্রতি নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান জানাতে।

নাজমুল বলেন, কাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল নেমেছে। বিকেলে অনুষ্ঠান হলেও এখনই সামনের রাস্তাগুলোতে পা ফেলার জায়গা নেই।

নাজমুল হোসাইন আরও বলেন, মুসলমানদের প্রতি এমন নির্যাতন অন্য মুসলমানরা সহ্য করতে পারে না, সে কারণেই মানুষের এত ঢল নেমেছে।

পাশাপাশি কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা।

সমাবেশ স্থলে বসানো হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প ও তথ্য কেন্দ্র। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও।

উল্লেখ্য, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সামিল হচ্ছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

এতে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

বানের পানির মতো মানুষ ছুটছে সোহরাওয়ার্দীতে

সর্বশেষ আপডেট : ০২:৩৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

সারা দেশে থেকে বানের পানির মতো মানুষ ছুটে আসছে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তীব্র রোদ-গরমে কষ্ট করে ঢাকা আসার লক্ষ্য একটাই, ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর ইসরায়েলি নৃশংতার প্রতিবাদ।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

এই জমায়েতের ডাক দিয়েছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম।

শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এই কর্মসূটি শুরু কথা থাকলেও সকাল থেকেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

শত শত ছোট মিছিল নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত দিয়ে মানুষ জড়ো হচ্ছে উদ্যানে।

কোনো মিছিল শাহবাগের দিক থেকে, কোনোটি দোয়েল চত্বরের দিক থেকে, কোনোটি আবার যাচ্ছে নীলক্ষেতের দিক থেকে।

কমূসূচি অনুযায়ী জোহরের নামাজের পর পরই দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অঙ্গনের শীর্ষ নেতারা মঞ্চে থাকবেন।

এর আগে আয়োজকদের পক্ষ থেকে আগতদের সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

টিএসসি-সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেটের সামনে ফিলিস্তিনের পতাকা ও টি-শার্ট বিক্রি করছেন নাজমুল হোসাইন নামে এক ব্যাক্তি।

তিনি বলেন, এখানে এসেছি শুধু পতাকা বিক্রি করতে না, মুসলমানদের প্রতি নির্যাতনের বিরুদ্ধে নিজের অবস্থান জানাতে।

নাজমুল বলেন, কাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল নেমেছে। বিকেলে অনুষ্ঠান হলেও এখনই সামনের রাস্তাগুলোতে পা ফেলার জায়গা নেই।

নাজমুল হোসাইন আরও বলেন, মুসলমানদের প্রতি এমন নির্যাতন অন্য মুসলমানরা সহ্য করতে পারে না, সে কারণেই মানুষের এত ঢল নেমেছে।

পাশাপাশি কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবীরা।

সমাবেশ স্থলে বসানো হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প ও তথ্য কেন্দ্র। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও।

উল্লেখ্য, ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে সামিল হচ্ছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

এতে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।