ইসরায়েলের ওপর সাম্প্রতিক হামলায় ইরান খায়বার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে দাবি করেছে। কিছুক্ষণ আগে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে ইসরায়েলের সাথে সাম্প্রতিক সংঘাতে প্রথমবারের মতো ‘খাইবার’ বা ‘খায়বার’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের কথা জানানো হয়েছে।
এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে আমরা কতুটুক জানি? এই ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য তুলে ধরা হল –
খাইবার ক্ষেপণাস্ত্রটি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের সর্বশেষ মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি।
আনুষ্ঠানিকভাবে খোররামশহর-৪ নামে পরিচিত। এটি দেশীয়ভাবে উৎপন্ন খোররামশাহর ক্ষেপণাস্ত্র সিরিজের ফোর্থ জেনারেশন।
২০০০ কিলোমিটার পাল্লার খায়বার ক্ষেপণাস্ত্র দেড় হাজার কেজি ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম, যা ইরানের মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে সবচেয়ে ভারী ওয়ারহেডগুলির মধ্যে একটি এটি।
আরো পড়ুন: ‘১০ বছরের মধ্যে ইরান পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হয়ে উঠব’
তরল জ্বালানিচালিত এই ক্ষেপণাস্ত্রটিকে উড়ন্ত অবস্থায়েই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর পাশাপাশি বায়ুমণ্ডলের বাইরে ওয়ারহেডের গতিপথ সামঞ্জস্য করার সক্ষমতাও রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির।
ইরানে নির্মিত এর আগের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর তুলনায় অনেকটাই নির্ভুলভাবে লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এটি। প্রযুক্তিগতভাবে খাইবারের সর্বোচ্চ গতি বায়ুমণ্ডলের বাইরে আনুমানিক ম্যাক ১৬। যা শব্দের গতির ১৬ গুণ এবং এর ভেতরে আনুমানিক ম্যাক ৮।
প্রযুক্তিগতভাবে এই ক্ষেপণাস্ত্র এতটাই শক্তিশালী যে প্রচলিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো বেশ কঠিন।