ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই যোদ্ধাদের সংঘর্ষের জেরে বৃহস্পতিবারও সেবা কার্যক্রম বন্ধ আছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) পর্যন্ত হাসপাতালের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়নি।
এর আগে, কর্মচারীদের কর্মবিরতির কারণে বুধবার সকাল থেকেই হাসপাতালের সব ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সকালেও তা চালু হয়নি।
হাসপাতালের কর্মচারী আশরাফুল আলম বলেন, বুধবারের সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীদের কেউ হাসপাতালে যাননি। এ কারণে কোনো কার্যক্রম চলছে না।
হাসপাতালটির কর্মচারীরা বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করলে সকাল ১০টার পর তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় সেখানে চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধা এবং চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা। দুপুরের দিকে সেনা সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। তবে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে বিকালের দিকে।
কর্মচারী আশরাফুল বলেন, তারা কাল আমাদের ডাক্তারদের মারছে, যারা গত ১১ মাস ধরে এদের চিকিৎসা দিছে। স্টাফদের মারছে, কয়েকজনের মাথা ফাটাইছে। রড, লাঠি, তাদের সবকিছু রেডি থাকে।
“তারা মারামারি করে, আবার পঙ্গু থেকেও আইসা যোগ দেয়। আমরা উপর থেকে নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কাজে যাব না।
সেলিনা বেগম নামে হাসপাতালের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, তিনিসহ কয়েকজন নার্স সকালে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, তবে ফটক বন্ধ থাকায় ফেরত চলে এসেছেন।
আরো পড়ুন: সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখি গেইট বন্ধ। সিকিউরিটিরা গেইটে দাঁড়ায়া আছে, পুলিশও আছে। আমাদের ঢুকতে দেয় নাই, বলে হাসপাতাল বন্ধ। আমাদের মেট্রন ম্যাডামকে কল দিয়েছিলাম। তিনি একটা ট্রেনিংয়ে, এ কারণে কল ধরেননি হয়তো। পরে আমরা বাসায় চলে এসেছি।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, হাসপাতাল বন্ধ, কোনো কার্যক্রম চলছে না; এর বেশি ইনফরমেশন দিতে পারব না।