ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন বলেছেন, সরকারকে শেষবারের মতো বলছি- শপথ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় শুক্রবার (৩০ মে) থেকেই নগরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এ আন্দোলন আরও বেগবান করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরভবনে প্রবেশ করেন ইশরাক। দলীয় নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিতে আসলেও, তার আগমন ঘিরে নগর ভবন প্রাঙ্গণ মুহূর্তেই স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।
সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইশরাকের সমর্থকরা নগর ভবনের সামনে জমায়েত হন। একইসঙ্গে ডিএসসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কর্মচারীরাও মিছিল নিয়ে এসে আন্দোলনে যোগ দেন। আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে নগর ভবনের সর্বস্তরের কর্মচারীরা গত ১৫ দিন ধরে কার্যত সব ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। ভবনের প্রতিটি ফটকে তালা ঝুলিয়ে তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে, ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ফল বাতিলের দাবিতে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন ৩ মার্চ আদালতে মামলা করেন।
সরকার পতনের পর ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ওই ফল বাতিল করে ইশরাককে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে। পরবর্তীতে ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়। তবে শপথ অনুষ্ঠান আয়োজন না করতে ১৪ মে একটি রিট দায়ের করা হয়।
আরো পড়ুন: কর্মচারী অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
এরপর থেকে ১৫ মে থেকে ইশরাক সমর্থকরা আন্দোলনে নামেন। হাইকোর্ট গত মঙ্গলবার ও বুধবার রিটের শুনানি নিয়ে তা খারিজ করে দেয়। বৃহস্পতিবার আদালত ইশরাককে শপথ পড়াতে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা নির্ধারণ করে। এরপর আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিতের ঘোষণা দেন তিনি।
এদিকে আজ (২৯ মে) আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে জানিয়ে দিয়েছে, শপথ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার এখন নির্বাচন কমিশনের। এ অবস্থায় ইশরাক হোসেন বলেছেন, সরকার যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শপথ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা না করে, তবে আন্দোলন আরও বিস্তৃত ও শক্তিশালী হবে।