১০:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

সরকারি চাকরিজীবীদের বড় সুখবর দিল অর্থ মন্ত্রণালয়

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০২:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • 31

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (২২ মে) এমন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

নতুন হার অনুযায়ী, প্রথম থেকে নবম গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১৫ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। পাশাপাশি দশম থেকে বিশ গ্রেডের কর্মীরা ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। এতে সরকারের বাড়তি ব্যয় হবে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।

২০১৫ সাল থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট সুবিধাও পেয়ে আসছেন। এর পাশাপাশি ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে বাড়তি ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তবে মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ এই ৫ শতাংশ প্রণোদনা সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সরকারি কর্মচারীদের ওপর ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে গত ডিসেম্বরে একটি কমিটি গঠিত হয়। সেখানে ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মীদের জন্য ২০ শতাংশ এবং প্রথম থেকে ৯ম গ্রেডের কর্মীদের জন্য ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব আসে।

এ কমিটি একাধিকবার বৈঠক করে। তাতে জনপ্রশাসন সচিব চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই এটি কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন : ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত : সেনাপ্রধান

তবে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনায় আপত্তি তোলেন সরকারের একাধিক উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ কিছু অর্থনীতিবিদ। তারা কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। সে সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেছিলেন, এ বিষয়ে তখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮২ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে একাধিকবার পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে—এসব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন। আবার আগের সরকারের আমলে অবসরপ্রাপ্ত ও পদোন্নতিবঞ্চিত ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত প্রতি বছর বেতন-ভাতা খাতে বাজেট বরাদ্দ ৬ থেকে ৮ শতাংশ বাড়ে। সেই হিসাবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য এই বরাদ্দ প্রায় ৮৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে। তবে মহার্ঘ ভাতা যুক্ত হলে ব্যয় বেড়ে ৯৬ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি যেতে পারে।

 

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

সরকারি চাকরিজীবীদের বড় সুখবর দিল অর্থ মন্ত্রণালয়

সর্বশেষ আপডেট : ০২:৪০:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (২২ মে) এমন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

নতুন হার অনুযায়ী, প্রথম থেকে নবম গ্রেডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১৫ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। পাশাপাশি দশম থেকে বিশ গ্রেডের কর্মীরা ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন। এতে সরকারের বাড়তি ব্যয় হবে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।

২০১৫ সাল থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট সুবিধাও পেয়ে আসছেন। এর পাশাপাশি ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে বাড়তি ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। তবে মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ এই ৫ শতাংশ প্রণোদনা সুবিধা বাতিল হয়ে যাবে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সরকারি কর্মচারীদের ওপর ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে গত ডিসেম্বরে একটি কমিটি গঠিত হয়। সেখানে ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মীদের জন্য ২০ শতাংশ এবং প্রথম থেকে ৯ম গ্রেডের কর্মীদের জন্য ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব আসে।

এ কমিটি একাধিকবার বৈঠক করে। তাতে জনপ্রশাসন সচিব চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই এটি কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন : ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত : সেনাপ্রধান

তবে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনায় আপত্তি তোলেন সরকারের একাধিক উপদেষ্টার ঘনিষ্ঠ কিছু অর্থনীতিবিদ। তারা কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। সে সময় অর্থ উপদেষ্টা বলেছিলেন, এ বিষয়ে তখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮২ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে একাধিকবার পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে—এসব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন। আবার আগের সরকারের আমলে অবসরপ্রাপ্ত ও পদোন্নতিবঞ্চিত ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত প্রতি বছর বেতন-ভাতা খাতে বাজেট বরাদ্দ ৬ থেকে ৮ শতাংশ বাড়ে। সেই হিসাবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য এই বরাদ্দ প্রায় ৮৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে। তবে মহার্ঘ ভাতা যুক্ত হলে ব্যয় বেড়ে ৯৬ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি যেতে পারে।