পবিত্র ঈদুল আজহায় ১০ দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সেই হিসেবে আগামী ৫ জুন থেকে ছুটি শুরু হচ্ছে। আর এই ছুটি শুরুর আগেই শিক্ষকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এপ্রিল মাসের বেতনও এখনো পাননি। কবে পাবেন সেটারও নিশ্চয়তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল আজহার বোনাস ও বেতনের দাবিতে আন্দোলন করছেন স্কুল-কলেজের এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। এরমধ্যেই সুখবর পেলেন তারা।
ঈদের ছুটি শুরুর আগেই বেতন-বোনাস
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান জানান, শিক্ষকদের আন্দোলনের জেরে ঈদের ছুটি শুরুর আগেই বেতন-বোনাস দেওয়া হবে। দুটি বেতন ও বোনাস হয়তো একসঙ্গে পাবেন না। আগে বোনাস ছাড় হতে পারে। এরপর বেতনের অর্থ পাবেন।
তিনি বলেন, এপ্রিল মাসের বেতনটা বকেয়া রয়েছে। সেটির প্রস্তাব আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এটা অনুমোদন হয়ে আসলে খুব দ্রুত ঈদুল আজহার বোনাসের প্রস্তাব পাঠানো হবে। তারপর মে মাসের বেতনের প্রস্তাব দেব।
এদিকে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ঈদের বোনাস বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ফলে আসন্ন কোরবানির ঈদ থেকে শিক্ষকরা মূল বেতনের ৫০ শতাংশ হারে বোনাস পাবেন। আর কর্মচারীরা আগের মতোই বোনাস পাবেন।
জানা যায়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত ৮ ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়। এ অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানান ভোগান্তিতে পড়তে হতো।
আরও পড়ুন : সাত কলেজে নতুন প্রশাসক, প্রধান দপ্তর ঢাকা কলেজে
এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি এক লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পান।
দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারী ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন। তবে তারা এখনো এপ্রিল মাসের বেতন-ভাতা পাননি। এরই মধ্যে এপ্রিলের বেতনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তারা বেতন পেতে পারেন।