স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, বিশেষ অনুমতি ছাড়াই কুয়েতের ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা।
উপদেষ্টা তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, ‘বিশেষ অনুমতি ছাড়াই কুয়েতের ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। সম্প্রতি এমনটি জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন।’
বিশেষ অনুমতি ছাড়াই কুয়েতের ভিসা সুবিধা পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা
উপদেষ্টা বলেন, ‘গেল এক সপ্তাহ ধরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত না হলেও বাংলাদেশিরা ভিসা পাচ্ছেন বিশেষ অনুমতি ছাড়াই। ভিসা নিয়ে প্রতারণা না করার ব্যাপারে কঠোরভাবে সতর্ক করেন রাষ্ট্রদূত।’
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ভেরিফাইড ফেসবুকে অপর এক পোস্টে বলেন, ‘তফসিলি ব্যাংকগুলো বৈদেশিক মুদ্রা বিক্রির সময় বিভিন্ন হারে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি ও চার্জ এবং অতিরিক্ত সার্ভিস ফি বা কমিশন নিচ্ছে। অতিরিক্ত ফি আদায় করায় ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে নিরুৎসাহিত হন গ্রাহকরা।’
তিনি বলেন, ‘এ কারণে বৈধ চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে উৎসাহিত করতে প্রথমবারের মতো পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা আদায় করতে পারবে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল এই ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর বাইরে পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্ট ফি বাবদ বাড়তি কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না।’
কুয়েতের ভিসা
এর আগে কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেন সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশিদের জন্য কুয়েতের ভিসা আরো সহজ করা হয়েছে। এখন বিশেষ অনুমতি (লামনা) ছাড়াই কুয়েতে ভিসা পাবেন বাংলাদেশিরা।
দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের জন্য কুয়েতে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ায় নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে নিরাপদ অভিবাসন প্রক্রিয়া অবলম্বন করা জরুরি। কারণ, সতর্কতা ও যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণই হতে পারে নিরাপদ অভিবাসনের মূল চাবিকাঠি।
রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না থাকলেও এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশিরা লামনা ছাড়াই কুয়েতের ভিসা পাচ্ছেন। তবে, ভিসা-সংক্রান্ত প্রতারণা থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন—দূতাবাসের কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান, কুয়েত প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিশিষ্টজনেরা।
আরও পড়ুন : সাত কলেজে নতুন প্রশাসক, প্রধান দপ্তর ঢাকা কলেজে
রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘যেসব ভিসা আমরা সত্যায়িত করি, সেসব ক্ষেত্রে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দূতাবাসের চুক্তি থাকে। আমরা নিশ্চিত করি যে, বাংলাদেশি কর্মীরা কুয়েতে আসার পর তাদের বেতন, থাকা, চিকিৎসা ও ছুটি সংক্রান্ত সব ব্যবস্থা যথাযথভাবে থাকবে।’
দালালের মাধ্যমে বিদেশে না গিয়ে দূতাবাস নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আবেদন করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেছেন, ‘দালালদের মাধ্যমে না এসে, দয়া করে সঠিক ও বৈধ পদ্ধতিতে ভিসা গ্রহণ করুন। এতে প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং কুয়েতে নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব হবে।’
ভিসা নিতে যেসব বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন
কুয়েত দূতাবাসের নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। দালালের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে না। নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির তথ্য যাচাই করতে হবে। বেতন, আবাসন ও অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।