নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তারের পর সিদ্ধিরগঞ্জের মিনারুল হত্যা মামলায় শুনানী শেষে কাগাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (৯ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুদ্দিন কাদেরের আদালত এ আদেশ দেন।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কাইউম খান এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী গ্রেপ্তার
এর আগে এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালায়। তবে হাজার হাজার এলাকাবাসীর বাধার মুখে পুলিশ রাতে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। যদিও সকালে তিনি গ্রেপ্তার হোন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইভীকে গ্রেপ্তার করতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার পুলিশের একটি দল দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত আইভীর বাসভবন চুনকা কুটিরে প্রবেশ করে। এ খবর শুনে চারদিক থেকে হাজার হাজার এলাকাবাসী তার বাড়ির সামনে এসে ভিড় করে। বাড়ির প্রধান ফটক অবরোধ করে তার মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দেয়।
পুলিশ আইভীর বাড়িতে প্রবেশ করতে চাইলে এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়ে। পরে রাত ৩টার দিকে পুলিশের তিন সদস্যের একটি টিম আইভীর বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। তবে আইভী রাতের সময় গ্রেপ্তার করার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানায়। বরং সকালে তাকে দিনের আলোতে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায়। সেই অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন : শেখ হাসিনাসহ সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা
এদিকে আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় বহনকারী গাড়ির ওপর হামলা হয়েছে। এ সময় র্যাব ও পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিবি রোডের কালির বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা ও হত্যার চেষ্টাসহ একাধিক মামলায় আসামি করা হয়েছে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অন্য সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের মতো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ হারান সেলিনা হায়াৎ আইভী।