০৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

আজ বিশ্ব গাধা দিবস, যে কারণে দিনটি মনে রাখবেন

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০২:৪২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • 19

‘তুই একটা গাধা’! ‘আরে গাধাদের মত কথা বলছিস কেন’, ‘আরে গাধা নাকি’ এ কথাগুলো আমরা প্রায়ই শোনে তাকি। চারপাশে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি এসব কথা শোনেনি । কারণে অকারণে আমরা ‘গাধা’ শব্দটি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে আসি।

কারও নির্বুদ্ধিতায় কাউকে গাধা বলাটা আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাসের মধ্যেই পরে। কারণ ভারতবর্ষে গাধার ব্যবহার খুব একটা উপকারী ছিল না। বিশেষ করে ঘোড়ার সঙ্গে তুলনা করলে।

কিন্তু আজ সেই গাধা নামক প্রাণীকেই উদ্‌যাপনের দিন, কারণ আজ ‘বিশ্ব গাধা দিবস’! বানিয়ে বলছি না, একদম সত্যি।

বিশ্ব গাধা দিবস

২০১৮ সালে প্রথম এই দিবস পালিত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরের ৮ মে সার্বজনীনভাবে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব গাধা দিবস।

এ দিবসের শুরু করেন বিজ্ঞানী ও মরুভূমির প্রাণী গবেষক আর্ক রাজিক। তিনি একজন বিজ্ঞানী এবং মরুভূমির প্রাণী নিয়ে কাজ করেন। এক সময় তিনি বুঝতে পারেন গাধারা মানুষের জন্য যে পরিমাণ কাজ করে, সেই পরিমাণ স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এজন্য তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেন। তারপর সেখানে গাধাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য প্রচার করতে শুরু করেন।

চীনে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গাধা আছে। সেখানে গাধার চামড়ায় থাকা একটি আঠালো পদার্থ ব্যবহৃত হয় ওষুধ তৈরিতে, যা হাঁপানি ও অনিদ্রার মতো রোগের চিকিৎসায় উপকারী। তবে ওষুধ শিল্পে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে চীনে গাধার সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।

হাজার বছর ধরে গাধা চাষাবাদ, পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতে মানুষের সহকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এখনো দরিদ্র কৃষক ও শ্রমজীবীদের জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

আরও পড়ুন : পদ্মার এক বিশাল কাতল ৪০ হাজারে বিক্রি

তবে প্রায়ই এই প্রাণীদের প্রতি অবহেলা ও নিষ্ঠুর ব্যবহার করা হয়। একটি আলাদা দিবস পালনের মাধ্যমে এই অবহেলিত প্রাণীদের প্রতি সদয় আচরণ এবং সঠিক যত্নের গুরুত্ব তুলে ধরা সম্ভব।

গাধা গ্রামীণ অঞ্চলের জন্য একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই বাহন হিসেবেও পরিচিত। দিবসটি শুধু গাধার গুরুত্ব তুলে ধরেই থেমে থাকে না, বরং এটি শিশু ও সাধারণ মানুষকে সকল প্রাণীর প্রতি সহানুভূতি, যত্ন এবং পরিবেশ রক্ষার শিক্ষা দিতেও সহায়ক।

এই অপ্রচলিত হলেও তাৎপর্যপূর্ণ দিবসটি মানুষের আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে পারে এবং “প্রতিটি প্রাণীই মূল্যবান”—এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

আজ বিশ্ব গাধা দিবস, যে কারণে দিনটি মনে রাখবেন

সর্বশেষ আপডেট : ০২:৪২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

‘তুই একটা গাধা’! ‘আরে গাধাদের মত কথা বলছিস কেন’, ‘আরে গাধা নাকি’ এ কথাগুলো আমরা প্রায়ই শোনে তাকি। চারপাশে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি এসব কথা শোনেনি । কারণে অকারণে আমরা ‘গাধা’ শব্দটি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে আসি।

কারও নির্বুদ্ধিতায় কাউকে গাধা বলাটা আমাদের প্রতিদিনের অভ্যাসের মধ্যেই পরে। কারণ ভারতবর্ষে গাধার ব্যবহার খুব একটা উপকারী ছিল না। বিশেষ করে ঘোড়ার সঙ্গে তুলনা করলে।

কিন্তু আজ সেই গাধা নামক প্রাণীকেই উদ্‌যাপনের দিন, কারণ আজ ‘বিশ্ব গাধা দিবস’! বানিয়ে বলছি না, একদম সত্যি।

বিশ্ব গাধা দিবস

২০১৮ সালে প্রথম এই দিবস পালিত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছরের ৮ মে সার্বজনীনভাবে পালন করা হচ্ছে বিশ্ব গাধা দিবস।

এ দিবসের শুরু করেন বিজ্ঞানী ও মরুভূমির প্রাণী গবেষক আর্ক রাজিক। তিনি একজন বিজ্ঞানী এবং মরুভূমির প্রাণী নিয়ে কাজ করেন। এক সময় তিনি বুঝতে পারেন গাধারা মানুষের জন্য যে পরিমাণ কাজ করে, সেই পরিমাণ স্বীকৃতি পাচ্ছে না। এজন্য তিনি একটি ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করেন। তারপর সেখানে গাধাবিষয়ক বিভিন্ন তথ্য প্রচার করতে শুরু করেন।

চীনে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক গাধা আছে। সেখানে গাধার চামড়ায় থাকা একটি আঠালো পদার্থ ব্যবহৃত হয় ওষুধ তৈরিতে, যা হাঁপানি ও অনিদ্রার মতো রোগের চিকিৎসায় উপকারী। তবে ওষুধ শিল্পে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে চীনে গাধার সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।

হাজার বছর ধরে গাধা চাষাবাদ, পণ্য পরিবহন ও যাতায়াতে মানুষের সহকারী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এখনো দরিদ্র কৃষক ও শ্রমজীবীদের জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

আরও পড়ুন : পদ্মার এক বিশাল কাতল ৪০ হাজারে বিক্রি

তবে প্রায়ই এই প্রাণীদের প্রতি অবহেলা ও নিষ্ঠুর ব্যবহার করা হয়। একটি আলাদা দিবস পালনের মাধ্যমে এই অবহেলিত প্রাণীদের প্রতি সদয় আচরণ এবং সঠিক যত্নের গুরুত্ব তুলে ধরা সম্ভব।

গাধা গ্রামীণ অঞ্চলের জন্য একটি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই বাহন হিসেবেও পরিচিত। দিবসটি শুধু গাধার গুরুত্ব তুলে ধরেই থেমে থাকে না, বরং এটি শিশু ও সাধারণ মানুষকে সকল প্রাণীর প্রতি সহানুভূতি, যত্ন এবং পরিবেশ রক্ষার শিক্ষা দিতেও সহায়ক।

এই অপ্রচলিত হলেও তাৎপর্যপূর্ণ দিবসটি মানুষের আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে পারে এবং “প্রতিটি প্রাণীই মূল্যবান”—এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।