চিকিৎসা শেষে চার মাস পর দুই পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথিসহ সফর সঙ্গীদের নিয়ে কাতারের আমিরের দেওয়া ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ করে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
পুরো রাজধানীজুড়ে নেতা-কর্মীদের ঢল নেমেছে রাস্তায়। শুভেচ্ছা, অভ্যর্থনা জানাতে ভোর থেকেই বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুরু করে গুলশানের বাসভবন পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছেন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা।
এবার খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা নিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
খালেদা জিয়াকে নিয়ে সারজিসের স্ট্যাটাস
মঙ্গলবার (০৬ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সারজিস লিখেছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশে স্বাগতম।
তিনি আরও লিখেছেন, আমরা বিশ্বাস করতে চাই, জুলাই অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের আপামর ছাত্র জনতা যে আকাঙ্ক্ষাগুলোকে বুকে ধারণ করে অকাতরে রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে; সেই আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সামনে রেখে তিনি এবং তার দল বিএনপি আপোসহীনভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় দেশের স্বার্থকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে যাবেন।
এরপর বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন এই ছাত্রনেতা।
উল্লেখ্য,কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়া লন্ডন যান। ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি লন্ডনের দ্য ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৭ দিন চিকিৎসার পর লন্ডন ক্লিনিক থেকে ২৫ জানুয়ারি তাকে তারেক রহমানের বাসায় নেওয়া হয়। ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছেন।
আরও পড়ুন : ফিরোজায় রান্নার দায়িত্বে জিয়াউর রহমানের সেই বাবুর্চি
এর আগে চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডন গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তিন মাস লন্ডনে অবস্থানের পর সেবার দেশে ফিরেছিলেন ওই বছরের ১৮ অক্টোবর।