০৮:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

বয়স লুকাতে কী করেছেন দীপিকা

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০২:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • 24

পুরোনো ছবি

তারুণ্য ধরে রাখতে ত্বকের বলিরেখা দূর করতে, বলতে গেলে বয়স লুকাতে এবার একটি বিশেষ থেরাপি করিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। ‘সিংহম অ্যাগেইন’-এর শুটিংয়ের সময়েই ত্বকের ওই থেরাপি করান অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা পাড়ুকোন জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের কোনোরকম সার্জারিতে বিশ্বাসী নন।

হাইফু থেরাপি

তাতে মুখের আদল বদলে যায়। তার চেয়ে ‘নন-ইনভেসিভ ট্রিটমেন্ট’ অনেক বেশি কার্যকর। সে জন্য ‘হাই ইনটেন্সিটি ফোকাসড আল্ট্রাসাউন্ড’ (হাইফু) নামে এক ধরনের থেরাপি করিয়েছেন তিনি।

ছুরি-কাঁচি ছাড়াই ত্বকের একরকম সার্জারি বলা হয় হাইফু থেরাপি। আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করে ত্বকের সূক্ষ্ম দাগছোপ তুলে ফেলা হয়। কুঁচকে যাওয়া চামড়া ও বলিরেখাও দূর হয়ে ত্বক টানটান হয়ে থাকে। এটি মূলত ‘অ্যান্টি-এজিং’ থেরাপি, যা কাটাছেঁড়া ছাড়াই যন্ত্রণাহীনভাবে করা যায়।

হাইফু ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে বার্ধক্যের ছাপ পুরোপুরি মুছে ফেলতে পারে। আর তাতে এ পদ্ধতি অবলম্বন করে ত্বকের বাড়তি মেদও কমানো যায়।

আরও পড়ুন : ‘পুরুষ আমাকে হতাশ করলেও আকর্ষণ আরও বেড়েছে’

শব্দতরঙ্গকে এমনভাবে ব্যবহার করা হয়, যা ত্বকের মৃত কোষ নষ্ট করে দেয়। এর বদলে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষের মেরামতিও করা যায় এ থেরাপিতে। ত্বকের যে জায়গায় খুঁত রয়েছে, সেই স্তর কাটাছেঁড়া না করে বরং মেরামত করা হয়। এ থেরাপি করালে ত্বক টানটান থাকে ও ঝকঝকে উজ্জ্বল দেখায়। বয়সকালে মুখ ও গলার চামড়া ঝুলে যাওয়ার যে সমস্যা তৈরি হয়, হাইফু করালে তা হবে না।

দীপিকা বলেন, ৪০ বছরের পর মেয়েদের চোখের নিচে ও গালের চামড়ায় বলিরেখা পড়ে। তার ওপর প্রসাধনীর ব্যবহার বেশি হলে ত্বকের আরও ক্ষতি হয়। তাই একবার হাইফু করিয়ে নিতে পারলে আর ত্বকের কোনোরকম সার্জারি করার প্রয়োজন হবে না। এ ছাড়া মুখ, গলা, হাত, বুক ও ঊরুতেও হাইফু করা যায়।

ট্যাগ :

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

বয়স লুকাতে কী করেছেন দীপিকা

সর্বশেষ আপডেট : ০২:৩৬:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

তারুণ্য ধরে রাখতে ত্বকের বলিরেখা দূর করতে, বলতে গেলে বয়স লুকাতে এবার একটি বিশেষ থেরাপি করিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। ‘সিংহম অ্যাগেইন’-এর শুটিংয়ের সময়েই ত্বকের ওই থেরাপি করান অভিনেত্রী। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা পাড়ুকোন জানিয়েছেন, তিনি ত্বকের কোনোরকম সার্জারিতে বিশ্বাসী নন।

হাইফু থেরাপি

তাতে মুখের আদল বদলে যায়। তার চেয়ে ‘নন-ইনভেসিভ ট্রিটমেন্ট’ অনেক বেশি কার্যকর। সে জন্য ‘হাই ইনটেন্সিটি ফোকাসড আল্ট্রাসাউন্ড’ (হাইফু) নামে এক ধরনের থেরাপি করিয়েছেন তিনি।

ছুরি-কাঁচি ছাড়াই ত্বকের একরকম সার্জারি বলা হয় হাইফু থেরাপি। আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করে ত্বকের সূক্ষ্ম দাগছোপ তুলে ফেলা হয়। কুঁচকে যাওয়া চামড়া ও বলিরেখাও দূর হয়ে ত্বক টানটান হয়ে থাকে। এটি মূলত ‘অ্যান্টি-এজিং’ থেরাপি, যা কাটাছেঁড়া ছাড়াই যন্ত্রণাহীনভাবে করা যায়।

হাইফু ত্বকের কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে বার্ধক্যের ছাপ পুরোপুরি মুছে ফেলতে পারে। আর তাতে এ পদ্ধতি অবলম্বন করে ত্বকের বাড়তি মেদও কমানো যায়।

আরও পড়ুন : ‘পুরুষ আমাকে হতাশ করলেও আকর্ষণ আরও বেড়েছে’

শব্দতরঙ্গকে এমনভাবে ব্যবহার করা হয়, যা ত্বকের মৃত কোষ নষ্ট করে দেয়। এর বদলে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষের মেরামতিও করা যায় এ থেরাপিতে। ত্বকের যে জায়গায় খুঁত রয়েছে, সেই স্তর কাটাছেঁড়া না করে বরং মেরামত করা হয়। এ থেরাপি করালে ত্বক টানটান থাকে ও ঝকঝকে উজ্জ্বল দেখায়। বয়সকালে মুখ ও গলার চামড়া ঝুলে যাওয়ার যে সমস্যা তৈরি হয়, হাইফু করালে তা হবে না।

দীপিকা বলেন, ৪০ বছরের পর মেয়েদের চোখের নিচে ও গালের চামড়ায় বলিরেখা পড়ে। তার ওপর প্রসাধনীর ব্যবহার বেশি হলে ত্বকের আরও ক্ষতি হয়। তাই একবার হাইফু করিয়ে নিতে পারলে আর ত্বকের কোনোরকম সার্জারি করার প্রয়োজন হবে না। এ ছাড়া মুখ, গলা, হাত, বুক ও ঊরুতেও হাইফু করা যায়।