কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার পর পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। তারই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সংলগ্ন পূর্ব সীমান্তজুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে ভারত।
দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এই সতর্কতা বিশেষত বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চলের জন্য।
গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে লিখেছে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সংলগ্ন এলাকাগুলোতে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
কেন এমন সিদ্ধান্ত?
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ আইনবিরোধী আন্দোলনের সময় সৃষ্ট দাঙ্গায় অন্তত তিনজন নিহত ও শতাধিক আহত হন।
ওই ঘটনায় জমা দেওয়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ওই সহিংসতা উসকে দিতে বাংলাদেশিরা জড়িত ছিল।
তারই পরিপেক্ষিতে ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে টহল ও নজরদারি জোরদার করেছে।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত ব্যবহার করে অনুপ্রবেশ কিংবা বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হতে পারে।
আরও পড়ুন : তলে তলে কী করছে ভারত, জানাল নিউ ইয়র্ক টাইমস
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা পেহেলগামে ভয়াবহ এক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২৬ পর্যটক হারান।
পাকিস্তান এতে পরোক্ষভাবে জড়িত আছে এমন অভিযোগ তুলে দেশটির সঙ্গে সিন্ধু নদের পানি চুক্তি স্থগিত করেছে।
পাকিস্তানিদের সব ধরনের ভিসা সুবিধা বাতিল ও একইসঙ্গে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধের ঘোষণা দেয় নয়াদিল্লি।
জবাবে পাকিস্তানও প্রায় একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ভারতের বিমান নিজেদের আকাশসীমায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এ ছাড়া সীমান্ত ক্রসিং বন্ধের পাশাপাশি ভারতীয়দের ভিসা সুবিধাও বাতিল করেছে।
পাল্টাপাল্টি এসব পদক্ষেপে দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।