১০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

প্রেমিককে দেখতে হাসপাতালে তরুণী, অতঃপর যা ঘটল

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৪:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • 13

ছবি: সংগৃহীত

দুর্ঘটনায় ‘ব্রেইন ডেড’ হয়ে প্রায় মৃত্যুশয্যায় যুবক। ওই যুবককে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তার মোবাইল চুরি করেন প্রেমিকা। এরপর ওই যুবকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা ৩২ লাখ টাকা নিজের বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার’ করেন তরুণী!

এমনই এক অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন ওই যুবকের মা। সম্প্রতি ভারতের হায়দরাবাদ শহরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, পোন্নাবোয়াইনা মল্লিকার্জুন যাদব নামে এক যুবক অস্ট্রেলিয়া থেকে হায়দরাবাদে বাড়ি ফেরেন ২০২৪ সালে। ওই বছরের ১৫ নভেম্বর প্রেমিকা এবং ব্যবসায়ের অংশীদার মেধা রেড্ডি এবং পরিচিত কয়েক জনের সঙ্গে ‘পার্টি’ করেন তিনি। রাতে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন মল্লিকার্জুন। ফ্লাইওভারে ওই দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি করে যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।

কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, তার মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে। সেই থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন মল্লিকার্জুন।

মল্লিকার্জুনের মা এলজি মুকেশ্বরী যাদবের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর তার ছেলের মোবাইলটি পাওয়া যাচ্ছিল না। ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন।

অর্থের জোগাড় করতে গিয়ে তার নজরে আসে যে ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩২ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে তার বান্ধবীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। সেটাও আবার ছেলে দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পরে। এরপর তিনি ছেলের প্রেমিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে যান। কিন্তু পুলিশ এফআইআর নেয়নি বলে অভিযোগ। যদিও হাল ছাড়েননি ওই নারী।

অভিযোগ নিতে পুলিশের অসহযোগিতা

কিছুদিন আগে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেন মল্লিকার্জুনের মা। ছেলের ফোন হারানো, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরানোসহ পুলিশের অসহযোগিতার কথা জানান পুলিশ কমিশনারকে। তার পরেই পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। এফআইআর করেছে মল্লিকার্জুনের প্রেমিকা এবং তার বাবার বিরুদ্ধে। চুরি, প্রতারণাসহ একাধিক অপরাধের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ করছে পুলিশ। পাশাপাশি যে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিষয়েও তদন্ত চলছে।

মল্লিকার্জুনের মা বলেন, ‘আমার ছেলের বয়স মাত্র ২৫ বছর। ওর এত বড় দুঃসময়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুই কিভাবে এটা করতে পারল ভাবতে পারছি না! আর সেটা তার বাবাও মেনে নিলেন? পুলিশের কাছে আমার আবেদন, আপনারা অপরাধীদের শাস্তি দিন।’

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

প্রেমিককে দেখতে হাসপাতালে তরুণী, অতঃপর যা ঘটল

সর্বশেষ আপডেট : ০৪:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

দুর্ঘটনায় ‘ব্রেইন ডেড’ হয়ে প্রায় মৃত্যুশয্যায় যুবক। ওই যুবককে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে তার মোবাইল চুরি করেন প্রেমিকা। এরপর ওই যুবকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে থাকা ৩২ লাখ টাকা নিজের বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার’ করেন তরুণী!

এমনই এক অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন ওই যুবকের মা। সম্প্রতি ভারতের হায়দরাবাদ শহরে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, পোন্নাবোয়াইনা মল্লিকার্জুন যাদব নামে এক যুবক অস্ট্রেলিয়া থেকে হায়দরাবাদে বাড়ি ফেরেন ২০২৪ সালে। ওই বছরের ১৫ নভেম্বর প্রেমিকা এবং ব্যবসায়ের অংশীদার মেধা রেড্ডি এবং পরিচিত কয়েক জনের সঙ্গে ‘পার্টি’ করেন তিনি। রাতে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার মুখে পড়েন মল্লিকার্জুন। ফ্লাইওভারে ওই দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি করে যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।

কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, তার মস্তিষ্কের মৃত্যু হয়েছে। সেই থেকে হাসপাতালেই রয়েছেন মল্লিকার্জুন।

মল্লিকার্জুনের মা এলজি মুকেশ্বরী যাদবের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর তার ছেলের মোবাইলটি পাওয়া যাচ্ছিল না। ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রচুর টাকার প্রয়োজন।

অর্থের জোগাড় করতে গিয়ে তার নজরে আসে যে ছেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৩২ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে তার বান্ধবীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। সেটাও আবার ছেলে দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পরে। এরপর তিনি ছেলের প্রেমিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করতে যান। কিন্তু পুলিশ এফআইআর নেয়নি বলে অভিযোগ। যদিও হাল ছাড়েননি ওই নারী।

অভিযোগ নিতে পুলিশের অসহযোগিতা

কিছুদিন আগে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেন মল্লিকার্জুনের মা। ছেলের ফোন হারানো, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরানোসহ পুলিশের অসহযোগিতার কথা জানান পুলিশ কমিশনারকে। তার পরেই পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। এফআইআর করেছে মল্লিকার্জুনের প্রেমিকা এবং তার বাবার বিরুদ্ধে। চুরি, প্রতারণাসহ একাধিক অপরাধের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ করছে পুলিশ। পাশাপাশি যে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিষয়েও তদন্ত চলছে।

মল্লিকার্জুনের মা বলেন, ‘আমার ছেলের বয়স মাত্র ২৫ বছর। ওর এত বড় দুঃসময়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুই কিভাবে এটা করতে পারল ভাবতে পারছি না! আর সেটা তার বাবাও মেনে নিলেন? পুলিশের কাছে আমার আবেদন, আপনারা অপরাধীদের শাস্তি দিন।’