কাতার সফর ও সদ্য প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে তাকে বহনকারী ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে বাংলাদেশ সময় রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টা ইতালির রোম ত্যাগ করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এমন তথ্য জানিয়েছেন।
শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসও পোপের শেষকৃত্যে যোগ দেন।
গত শুক্রবার (২৫ এপ্রিল )কাতারের দোহা থেকে রোমে যান প্রধান উপদেষ্টা ।
শনিবার রোমে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষ হওয়ার পর ক্যাথলিক চার্চের শীর্ষস্থানীয় দুই নেতা কার্ডিনাল সিলভানো মারিয়া তোমাসি এবং কার্ডিনাল জ্যাকব কুভাকাড ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন : ঢাকার উদ্দেশে রোম ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
দুই কার্ডিনাল পোপ ফ্রান্সিসের আজীবন দারিদ্র্য বিমোচন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, যুদ্ধ এবং পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন পৃথিবীর স্বপ্নের কথা স্মরণ করেন।
তারা অধ্যাপক ইউনূসের কাজের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাকে পোপের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস পোপ ফ্রান্সিসের সাথে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘পোপ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে আপন করে নিতে পারতেন। তিনি একজন অসাধারণ মানুষ ছিলেন।’
এদিকে, শনিবার পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে যোগদানের পর রোমের একটি হোটেলে প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন উরুগুয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও লুবেটকিন।
তিনি পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ করে ঢাকা ও মার্কোসুর সদস্য(দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্য ব্লক) দেশগুলোর মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
বৈঠকে উভয় নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বর্তমান বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি, ল্যাটিন আমেরিকা ও এশিয়ার মধ্যে সহযোগিতার সেতুবন্ধনের বিষয়টিও তাদের আলোচনায় স্থান পায়।