ইরানের পরমাণু স্থাপনায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে ভয়ংকর বোমারু বিমান বি-টু স্প্রিরিট বোম্বার।
রোববার (২২ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে জানান, ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এগুলো হলো ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইস্পাহান।
এদিকে ইরানে হওয়া হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের বি-টু স্পিরিট বোম্বার বিমান ব্যবহার করা হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন একজন মার্কিন কর্মকর্তা।
তিনি জানান, মাটির নিচে ৬০ মিটার গভীরতায় অবস্থিত স্থাপনায় আঘাত করতে সক্ষম ৩০ হাজার পাউন্ডের বোমা জিবিইউ ৫৭ শুধুমাত্র এই বিমানটি থেকেই নিক্ষেপ করা যায়।
এর কিছুদিন ইরানের চার হাজার কিলোমিটারের মধ্যে থাকা একটি বিমানঘাঁটিতে কয়েকটি বি-টু বোমারু বিমান মোতায়েন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তবে দুদিন আগে হঠাৎ বিমানগুলো সেই ঘাঁটি থেকে সরিয়ে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তখন সেগুলোকে ইরান থেকে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কিলোমিটার দূরের বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে রাখা হয়।
হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
এদিকে হামলার পর ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা—ফোর্দো, নাতাঞ্জ এবং ইস্পাহানে আমাদের অত্যন্ত সফল হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান এখন ইরানের আকাশসীমার বাইরে রয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, ফোর্দো স্থাপনায় ‘পূর্ণ শক্তির বোমা হামলা’ চালানো হয়েছে এবং সব মার্কিন বিমান এখন যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পথে রয়েছে।
ট্রাম্প লিখেন, আমরা ফোর্দোতে মূল লক্ষ্যবস্তুতে সম্পূর্ণ পরিমাণ বোমা ফেলে সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। সব বিমান নিরাপদে দেশে ফেরার পথে। আমাদের মহান আমেরিকান যোদ্ধাদের অভিনন্দন! পৃথিবীতে আর কোনো সেনাবাহিনী নেই যারা এই কাজ করতে পারত। এখনই শান্তির সময়। এই বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলি শাসনের আগ্রাসী যুদ্ধে জড়ানোর বিপজ্জনক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের সঙ্গে এই যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়ে, তবে তা ‘সবার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক’ হবে।
ইউরোপীয় কূটনৈতিকদের সঙ্গে জেনেভায় আলোচনার পর ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন তিনি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরাঘচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়, তবে তা তাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনবে।