০৪:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

চীনের আধুনিকীকরণ বাংলাদেশ উদাহরণ হতে পারে: চীন রাষ্ট্রদূত

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৯:৪৬:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
  • 14

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে ‍নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আশা প্রকাশ করেছেন, চীনের আধুনিকীকরণ বাংলাদেশ ও অন্যান্য গ্লোবাল সাউথের দেশের জন্য কিছু উদাহরণ হতে পারে। কারণ, বাংলাদেশ এই ‘গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরের সন্ধিক্ষণে’ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আধুনিকীকরণ গ্লোবাল সাউথের জন্য একটি স্বাভাবিক ঘটনা। পশ্চিমা দেশগুলো শতাব্দী ধরে যা অর্জন করেছে, কয়েক দশকের মধ্যে চীন তা অর্জন করেছে।’

তিনি বলেন, দুটি অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে— দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই সামাজিক স্থিতিশীলতা অর্জন করা হয়েছে, যা পশ্চিমাদের আধুনিকতার তত্ত্বকে ভেঙে দিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীনের অনুশীলন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয় এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের নিজস্ব আধুনিকীকরণের পথ অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করে।

রবিবার (১১ মে) বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘শি জিনপিং: দ্য গভর্নেন্স অব চায়না’ বই সম্পর্কে চীন-বাংলাদেশ পাঠক ফোরাম’-এ তিনি এসব কথা বলেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সম্প্রতি ফাওজুল কবির প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে চীন সফর করেছেন।

তিনি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের (সিআইসিজি) সভাপতি ডু ঝানইউয়ান এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, উভয় দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় তারা সফলভাবে ‘শি জিনপিং: দ্য গভর্নেন্স অফ চায়না’ (প্রথম খণ্ড) এর বাংলা সংস্করণ বিষয় এই সভার আয়োজন করেছেন।

বাংলাদেশ-চীন জনগণের মধ্যে বিনিময় বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, এই অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

‘শি জিনপিং: দ্য গভর্নেন্স অফ চায়না’ বই

‘শি জিনপিং: দ্য গভর্নেন্স অফ চায়না’ বইটিতে ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ রচনা রয়েছে।

এখন পর্যন্ত, এটি ৪২টি ভাষার সংস্করণসহ চারটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে, যা ১৮০টিরও বেশি দেশে পৌঁছেছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনি এটি সারা বিশ্বে প্রায় ১ হাজার ৭০০টি প্রধান গ্রন্থাগারের বইয়ের তাকে খুঁজে পেতে পারেন। চীনকে জানার ও বোঝার জন্য এটি দেশগুলোর কাছে পছন্দের বই।’

তিনি বলেন, প্রকাশের পর থেকে এই রচনাটি সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতৃত্ব প্রকাশনা হিসাবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। যার মধ্যে অভূতপূর্ব বহুভাষায় প্রসার এবং বিশ্বব্যাপী বিতরণ রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘মহাদেশ জুড়ে সরকারি নেতা এবং নীতিনির্ধারকরা সক্রিয়ভাবে অধ্যয়ন করেছেন এবং তাদের সংগ্রহে এটি যোগ হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রায়শই সেগুলো পড়ি এবং অধ্যয়ন করি। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্যপূর্ণ অংশগুলো। তারা নতুন যুগের জন্য চীনা নেতার দৃষ্টিভঙ্গি এবং কৌশলগুলোকে স্পষ্ট করে তোলে এবং গভীর অথচ সহজলভ্য শাসন দর্শনকে কালজয়ী জ্ঞানের সঙ্গে উপস্থাপন করে, যা আজও প্রাসঙ্গিক। কেউ যদি চীনের সাফল্য বুঝতে চায়—তাহলে উত্তরগুলো এই পৃষ্ঠাগুলোর মধ্যেই রয়েছে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, এই কাজটি বাংলাদেশি পাঠকদের জন্য সমসাময়িক চীনকে বোঝার জন্য একটি পথ প্রশস্ত করবে।

তিনি বলেন, ‘অনেক বাংলাদেশি বন্ধু আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন কিভাবে চীন প্রায় ১০ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করেছে। উত্তরে আমি তাদের বলেছিলাম: আপনি এই বইটিতে উত্তরগুলো খুঁজে পেতে পারেন।’।

তিনি উল্লেখ করেন, চীনের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক রূপান্তর মহান তাত্ত্বিক নির্দেশনা ছাড়া সম্ভব হত না।

এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের মাধ্যমে রাষ্ট্রদূত আশা করেন, তাদের বাংলাদেশি বন্ধুরা চীনের উন্নয়নের পথ, শাসনপদ্ধতি ও নির্দেশিকা নীতি সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা পাবেন।

তিনি বলেন, ‘এই কাজটি বাংলাদেশকে আধুনিকীকরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবে।’

রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘এই কাজটিতে পরস্পর জড়িত হওয়ার ও শেখার জন্য একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম। সৌহার্দ্য, আন্তরিকতা, পারস্পরিক সুবিধা এবং অন্তর্ভুক্তির নীতির উপর চীনের প্রতিবেশী কূটনীতি গড়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস মার্চ মাসে চীন সফর করেন ও রাষ্ট্রপতি শি’র সঙ্গে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হন।

‘উভয় পক্ষ রাজনৈতিক আস্থা আরও গভীর করার ও রাষ্ট্রীয় শাসন সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের বিষয়ে পুনর্ব্যক্ত করেছে।’

বইটিতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ সম্প্রদায় গঠনের ধারণা ও আধুনিকীকরণে পথে চীনের পদ্ধতির বিশদ ব্যাখ্যা করেছেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই ধারণাগুলো ও ‘তিন শূন্যের বিশ্ব’ সম্পর্কে অধ্যাপক ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত এবং পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী।’

এই গ্রন্থ প্রকাশের প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা রাষ্ট্র পরিচালনা এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের বিষয়ে আমাদের একটি নতুন অধ্যায় লিখছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা নিকট ভবিষ্যতে পরবর্তী খণ্ডগুলো প্রকাশের সুবিধার্থে বাংলাদেশি বন্দুদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’

সিআইসিজি সভাপতি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশ অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করবে এবং উভয় দেশের জনগণ দীর্ঘস্থায়ী শান্তি, সুখ, স্বাস্থ্য এবং কল্যাণ উপভোগ করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

চীনের আধুনিকীকরণ বাংলাদেশ উদাহরণ হতে পারে: চীন রাষ্ট্রদূত

সর্বশেষ আপডেট : ০৯:৪৬:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫

বাংলাদেশে ‍নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন আশা প্রকাশ করেছেন, চীনের আধুনিকীকরণ বাংলাদেশ ও অন্যান্য গ্লোবাল সাউথের দেশের জন্য কিছু উদাহরণ হতে পারে। কারণ, বাংলাদেশ এই ‘গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরের সন্ধিক্ষণে’ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আধুনিকীকরণ গ্লোবাল সাউথের জন্য একটি স্বাভাবিক ঘটনা। পশ্চিমা দেশগুলো শতাব্দী ধরে যা অর্জন করেছে, কয়েক দশকের মধ্যে চীন তা অর্জন করেছে।’

তিনি বলেন, দুটি অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে— দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই সামাজিক স্থিতিশীলতা অর্জন করা হয়েছে, যা পশ্চিমাদের আধুনিকতার তত্ত্বকে ভেঙে দিয়েছে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীনের অনুশীলন নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেয় এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের নিজস্ব আধুনিকীকরণের পথ অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করে।

রবিবার (১১ মে) বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘শি জিনপিং: দ্য গভর্নেন্স অব চায়না’ বই সম্পর্কে চীন-বাংলাদেশ পাঠক ফোরাম’-এ তিনি এসব কথা বলেন।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সম্প্রতি ফাওজুল কবির প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে চীন সফর করেছেন।

তিনি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলোতে দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপের (সিআইসিজি) সভাপতি ডু ঝানইউয়ান এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, উভয় দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় তারা সফলভাবে ‘শি জিনপিং: দ্য গভর্নেন্স অফ চায়না’ (প্রথম খণ্ড) এর বাংলা সংস্করণ বিষয় এই সভার আয়োজন করেছেন।

বাংলাদেশ-চীন জনগণের মধ্যে বিনিময় বছরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, এই অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থার অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

‘শি জিনপিং: দ্য গভর্নেন্স অফ চায়না’ বই

‘শি জিনপিং: দ্য গভর্নেন্স অফ চায়না’ বইটিতে ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ রচনা রয়েছে।

এখন পর্যন্ত, এটি ৪২টি ভাষার সংস্করণসহ চারটি খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে, যা ১৮০টিরও বেশি দেশে পৌঁছেছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আপনি এটি সারা বিশ্বে প্রায় ১ হাজার ৭০০টি প্রধান গ্রন্থাগারের বইয়ের তাকে খুঁজে পেতে পারেন। চীনকে জানার ও বোঝার জন্য এটি দেশগুলোর কাছে পছন্দের বই।’

তিনি বলেন, প্রকাশের পর থেকে এই রচনাটি সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতৃত্ব প্রকাশনা হিসাবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। যার মধ্যে অভূতপূর্ব বহুভাষায় প্রসার এবং বিশ্বব্যাপী বিতরণ রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘মহাদেশ জুড়ে সরকারি নেতা এবং নীতিনির্ধারকরা সক্রিয়ভাবে অধ্যয়ন করেছেন এবং তাদের সংগ্রহে এটি যোগ হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রায়শই সেগুলো পড়ি এবং অধ্যয়ন করি। বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্যপূর্ণ অংশগুলো। তারা নতুন যুগের জন্য চীনা নেতার দৃষ্টিভঙ্গি এবং কৌশলগুলোকে স্পষ্ট করে তোলে এবং গভীর অথচ সহজলভ্য শাসন দর্শনকে কালজয়ী জ্ঞানের সঙ্গে উপস্থাপন করে, যা আজও প্রাসঙ্গিক। কেউ যদি চীনের সাফল্য বুঝতে চায়—তাহলে উত্তরগুলো এই পৃষ্ঠাগুলোর মধ্যেই রয়েছে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, এই কাজটি বাংলাদেশি পাঠকদের জন্য সমসাময়িক চীনকে বোঝার জন্য একটি পথ প্রশস্ত করবে।

তিনি বলেন, ‘অনেক বাংলাদেশি বন্ধু আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন কিভাবে চীন প্রায় ১০ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করেছে। উত্তরে আমি তাদের বলেছিলাম: আপনি এই বইটিতে উত্তরগুলো খুঁজে পেতে পারেন।’।

তিনি উল্লেখ করেন, চীনের উল্লেখযোগ্য আর্থ-সামাজিক রূপান্তর মহান তাত্ত্বিক নির্দেশনা ছাড়া সম্ভব হত না।

এই গুরুত্বপূর্ণ কাজের মাধ্যমে রাষ্ট্রদূত আশা করেন, তাদের বাংলাদেশি বন্ধুরা চীনের উন্নয়নের পথ, শাসনপদ্ধতি ও নির্দেশিকা নীতি সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা পাবেন।

তিনি বলেন, ‘এই কাজটি বাংলাদেশকে আধুনিকীকরণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবে।’

রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘এই কাজটিতে পরস্পর জড়িত হওয়ার ও শেখার জন্য একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম। সৌহার্দ্য, আন্তরিকতা, পারস্পরিক সুবিধা এবং অন্তর্ভুক্তির নীতির উপর চীনের প্রতিবেশী কূটনীতি গড়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস মার্চ মাসে চীন সফর করেন ও রাষ্ট্রপতি শি’র সঙ্গে অনেক বিষয়ে ঐকমত্য হন।

‘উভয় পক্ষ রাজনৈতিক আস্থা আরও গভীর করার ও রাষ্ট্রীয় শাসন সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের বিষয়ে পুনর্ব্যক্ত করেছে।’

বইটিতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মানবজাতির জন্য একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎ সম্প্রদায় গঠনের ধারণা ও আধুনিকীকরণে পথে চীনের পদ্ধতির বিশদ ব্যাখ্যা করেছেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই ধারণাগুলো ও ‘তিন শূন্যের বিশ্ব’ সম্পর্কে অধ্যাপক ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত এবং পারস্পরিকভাবে শক্তিশালী।’

এই গ্রন্থ প্রকাশের প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা রাষ্ট্র পরিচালনা এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের বিষয়ে আমাদের একটি নতুন অধ্যায় লিখছেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা নিকট ভবিষ্যতে পরবর্তী খণ্ডগুলো প্রকাশের সুবিধার্থে বাংলাদেশি বন্দুদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’

সিআইসিজি সভাপতি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশ অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করবে এবং উভয় দেশের জনগণ দীর্ঘস্থায়ী শান্তি, সুখ, স্বাস্থ্য এবং কল্যাণ উপভোগ করবে।