হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বুধবার (২১ মে) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ
আইন সচিব শেখ আবু তাহের স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬ অনুচ্ছেদের দফা (৬) মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে বিচারক পদ থেকে ২১ মে অপসারণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিউজ আপডেটে বলা হয়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের প্রতিবেদন অনুসারে রাষ্ট্রপতি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬–এর দফা (৬) মোতাবেক খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে বিচারক পদ থেকে অপসারণ করেছেন।
খোন্দকার দিলীরুজ্জামান ২০১৮ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হন। ২০২০ সালের ৩০ মে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে বিচারক পদ থেকে অপসারণ করেন। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের দফা (৬) অনুযায়ী তাঁকে অপসারণ করা হয়। এ বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ গত ১৮ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারি করে।
খিজির হায়াত ২০১৮ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হন। ২০২০ সালের ৩০ মে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হন।
আরও পড়ুন : মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথে বাধা নেই, রিট খারিজ
গত ১৭ অক্টোবর ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভের পর হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সুপ্রিম কোর্ট। এই বিচারপতিদের মধ্যে একজন বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে এবং বাকি ১১ জন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই নিহত ছয়জনের মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন এবং সাম্প্রতিক ঘটনা তদন্তে বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্ব বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলো।
২০১৮ সালে খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। পরে ২০২০ সালে তাকে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি নিয়োগ করা হয়।