০৮:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

খুলনায় জলবায়ু নীতিতে উপকূলীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণের দাবি

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ১০:২৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
  • 14

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগে বিধ্বস্ত উপকূল। ছবি : সংগৃহীত

উপকূলীয় এলাকার ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সংস্কৃতি রক্ষায় তা জাতীয় জলবায়ু নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আজ শনিবার বিকেলে স্থানীয় এক হোটেলে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনারের শেষ দিনে এ দাবি জানানো হয়।

‘ইন্টারন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ ফর প্রিজার্ভিং লিগেসিস’ প্রকল্পের আওতায় এই আয়োজন করা হয়। সেমিনারে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক মসজিদ নগরীকে কেন্দ্র করে এই আলোচনা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক ড. ভিক্টোরিয়া হারম্যান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্ত হন।

বক্তারা বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর আওতায় ২০০৯ সালে প্রণীত ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা’য় উপকূলীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ নেই।

তারা জানান, এসব স্থাপনা এখন জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকিতে রয়েছে কিন্তু সরকারি দপ্তরগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ, জনবল বা সমন্বিত পরিকল্পনা নেই।

বক্তারা আরও বলেন, স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে। এসব সম্পদ শুধু ইতিহাস নয়, বরং শিক্ষা, গবেষণা ও পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানগুলো জাতীয় গর্ব। এসব রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সব খাতকে একসাথে কাজ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও জানান তিনি।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বাগেরহাট প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী ড. খন্দকার মাহফুজ-উদ-দারাইন সেমিনারের ফলাফলের সারাংশ উপস্থাপন করেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ উদ্যোগ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংরক্ষণের পথ দেখাবে। পাশাপাশি গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রেও সুযোগ তৈরি করবে।

সেমিনারের শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

খুলনায় জলবায়ু নীতিতে উপকূলীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণের দাবি

সর্বশেষ আপডেট : ১০:২৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

উপকূলীয় এলাকার ঐতিহাসিক স্থাপনা ও সংস্কৃতি রক্ষায় তা জাতীয় জলবায়ু নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আজ শনিবার বিকেলে স্থানীয় এক হোটেলে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনারের শেষ দিনে এ দাবি জানানো হয়।

‘ইন্টারন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভ ফর প্রিজার্ভিং লিগেসিস’ প্রকল্পের আওতায় এই আয়োজন করা হয়। সেমিনারে বাগেরহাটের ঐতিহাসিক মসজিদ নগরীকে কেন্দ্র করে এই আলোচনা হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রকল্পের নির্বাহী পরিচালক ড. ভিক্টোরিয়া হারম্যান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে যুক্ত হন।

বক্তারা বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর আওতায় ২০০৯ সালে প্রণীত ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা’য় উপকূলীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ নেই।

তারা জানান, এসব স্থাপনা এখন জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকিতে রয়েছে কিন্তু সরকারি দপ্তরগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ, জনবল বা সমন্বিত পরিকল্পনা নেই।

বক্তারা আরও বলেন, স্থানীয় জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে। এসব সম্পদ শুধু ইতিহাস নয়, বরং শিক্ষা, গবেষণা ও পর্যটনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানগুলো জাতীয় গর্ব। এসব রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি সব খাতকে একসাথে কাজ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও জানান তিনি।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও বাগেরহাট প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী ড. খন্দকার মাহফুজ-উদ-দারাইন সেমিনারের ফলাফলের সারাংশ উপস্থাপন করেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ উদ্যোগ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো সংরক্ষণের পথ দেখাবে। পাশাপাশি গবেষণা ও শিক্ষা ক্ষেত্রেও সুযোগ তৈরি করবে।

সেমিনারের শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।