০৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

ভারত ও পাকিস্তানের বলি বাংলাদেশকে হতে হবে কেন: রিজভী

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৮:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • 21

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ ব্যবস্থা বন্ধ করায় ভারতের সমালোচনা করে প্রশ্নচ্ছলে বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের বিদ্যমান সংকটের বলি বাংলাদেশকে হতে হবে কেন।

রোববার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ নীলফামারী জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকে ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করে দিয়েছে। আমাদের মালামাল ভারতের পোর্ট দিয়ে অন্য দেশে যেত। কিন্তু হঠাৎ তারা (ভারত) ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ করেছে। আমাদের সঙ্গে তো কোনো বৈরিতা নেই। পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটা তাদের দুই দেশের মধ্যকার বিষয়। তাহলে ট্রান্সশিপমেন্টের যে ব্যবস্থা ভারতের সঙ্গে ছিল, সেটা তারা বন্ধ করে দিল কেন? ভারতের মালামাল যাবে আমাদের দেশের ওপর দিয়ে, এজন্য তারা আমাদের নৌপথ সড়ক পথ ব্যবহার করবে।

কিন্তু আমাদের ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ করবে, অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উচ্চকণ্ঠ থাকবে না তা হতে পারে না। নয়া দিল্লির একের পর এক বাংলাদেশ বিরোধী এই ভূমিকার বিকল্প কী? সেটিও জনগণের কাছে খোলাসা করা উচিত।’

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আজকে মানুষ নানা কথা ভাবছে। তারা মনে করছে, স্বৈরাচারের দোসরদের দুধ-কলা দিয়ে পোষা হচ্ছে। আর এসব দোসররাই এই সরকারকে বিএনপির বিরুদ্ধে নানাভাবে বোঝাচ্ছে। বিএনপিকে দমিয়ে রাখার কথা বলছে।’

বিএনপি’র প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আরো সদয় ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি।

আরো পড়ুন: হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলা

এ সময় রিজভী বলেন, ‘আপনার সরকারের ভেতরে হয়ত কয়েকজন নির্বাচন চায় না। একটা মূলা ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তারা। ডিসেম্বরে, না হলে ফেব্রুয়ারিতে বা জুনে নির্বাচন- এরকম নানা কথা বলছেন। কিন্তু, কেউ সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্ধারিত সময় উল্লেখ করছেন না।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সরকারের তালবাহানা দিনকে-দিন দেশে ’৭১ এবং চব্বিশের ৫ আগস্টের যে অহংকার, সে অহংকার মিলিয়ে মানুষের যে প্রত্যাশা বহুদলীয়, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, এটাতো এখনো প্রতিষ্ঠা হয়নি। সেই সুযোগও অনেকে নস্যাৎ করে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে’।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

ভারত ও পাকিস্তানের বলি বাংলাদেশকে হতে হবে কেন: রিজভী

সর্বশেষ আপডেট : ০৮:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ ব্যবস্থা বন্ধ করায় ভারতের সমালোচনা করে প্রশ্নচ্ছলে বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের বিদ্যমান সংকটের বলি বাংলাদেশকে হতে হবে কেন।

রোববার (৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ নীলফামারী জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজকে ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল করে দিয়েছে। আমাদের মালামাল ভারতের পোর্ট দিয়ে অন্য দেশে যেত। কিন্তু হঠাৎ তারা (ভারত) ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ করেছে। আমাদের সঙ্গে তো কোনো বৈরিতা নেই। পাকিস্তানের সঙ্গে তাদের যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেটা তাদের দুই দেশের মধ্যকার বিষয়। তাহলে ট্রান্সশিপমেন্টের যে ব্যবস্থা ভারতের সঙ্গে ছিল, সেটা তারা বন্ধ করে দিল কেন? ভারতের মালামাল যাবে আমাদের দেশের ওপর দিয়ে, এজন্য তারা আমাদের নৌপথ সড়ক পথ ব্যবহার করবে।

কিন্তু আমাদের ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধ করবে, অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উচ্চকণ্ঠ থাকবে না তা হতে পারে না। নয়া দিল্লির একের পর এক বাংলাদেশ বিরোধী এই ভূমিকার বিকল্প কী? সেটিও জনগণের কাছে খোলাসা করা উচিত।’

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আজকে মানুষ নানা কথা ভাবছে। তারা মনে করছে, স্বৈরাচারের দোসরদের দুধ-কলা দিয়ে পোষা হচ্ছে। আর এসব দোসররাই এই সরকারকে বিএনপির বিরুদ্ধে নানাভাবে বোঝাচ্ছে। বিএনপিকে দমিয়ে রাখার কথা বলছে।’

বিএনপি’র প্রতি আচরণের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আরো সদয় ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি।

আরো পড়ুন: হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলা

এ সময় রিজভী বলেন, ‘আপনার সরকারের ভেতরে হয়ত কয়েকজন নির্বাচন চায় না। একটা মূলা ঝুলিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তারা। ডিসেম্বরে, না হলে ফেব্রুয়ারিতে বা জুনে নির্বাচন- এরকম নানা কথা বলছেন। কিন্তু, কেউ সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে নির্ধারিত সময় উল্লেখ করছেন না।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সরকারের তালবাহানা দিনকে-দিন দেশে ’৭১ এবং চব্বিশের ৫ আগস্টের যে অহংকার, সে অহংকার মিলিয়ে মানুষের যে প্রত্যাশা বহুদলীয়, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, এটাতো এখনো প্রতিষ্ঠা হয়নি। সেই সুযোগও অনেকে নস্যাৎ করে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে’।