মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় অনেকেরই। একটু আওয়াজ হলেই ঘুম ভেঙে যায় কারও। কারও আবার পাশ ফিরলেও ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু রাত ঠিক ৩টে নাগাদ ঘুম ভাঙে কারও কারও। একদিন নয়, প্রায়শই এমন হয়। নেহাত কাকতালীয় ঘটনা নয়, এর নেপথ্যে রয়েছে বিশেষ কিছু কারণ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস যাদের, রাত ৩টে নাগাদ তাঁদের ঘুম গভীর থেকে পাতলা হতে শুরু করে। এই পরিবর্তনের মাঝে ঘুম ভেঙে যায় অনেক সময়।
কর্টিসল, যা স্ট্রেস হরমোন নামে পরিচিত, রাত তিনটে নাগাদই শরীরে তার মাত্রা বাড়তে শুরু করে। এতে ঘুমের উপরও প্রভাব পড়ে।
রোজকার জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে আমাদের শরীরে। ডায়বিটিস থাকলেও, ভোরের আগে ঘুম ভাঙার প্রবণতা দেখা যায়।
বয়স বাড়লে আমাদের ঘুমের উপরও তার প্রভাব পড়ে। এই সময় ঘুম তেমন গভীর হয় না। তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলে, ৩টে নাগাদ ঘুম ভেঙে যায়। বার্ধক্যকালে যে ওষুধ খাওয়া হয়, তারও প্রভাব থাকে এর নেপথ্যে।
রাত ৩টে নাগাদ ঘুম ভাঙা নিয়ে কিছু আধ্যাত্মিক তত্ত্বও রয়েছে। বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিতে এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন কাহিনি পাওয়া যায়।
হিন্দুধর্মে রাত ৩.৩০টে থেকে ভোর ৪.৩০টে পর্যন্ত সময়কালকে ব্রহ্ম মুহূর্ত হিসেবে ধরা হয়। ওই সময়কালকে পবিত্র বলে মনে করা হয়, অর্থাৎ ওই সময়কাল ধ্য়ান, প্রার্থনা, আত্মসমীক্ষার জন্য আদর্শ।
আরো পড়ুন: যে বয়সে বিয়ে করলে পুরুষের আয়ু বাড়ে
মুসলিম সংস্কৃতিতে আবার রাত ৩টে সময়টিকে আধ্যাত্মিক জাগরণ এবং জ্ঞানার্জনের আদর্শ সময় হিসেবে ধরা হয়। ঠিক ওই সময়ে ঘুম ভেঙে গেলে, তাকে আধ্যাত্মিক জগতের সঙ্গে যোগসূত্র বলে ধরা হয়।
অন্য দিকে, ৩টেয় ঘুম ভাঙলে, তাকে অশুভ শক্তির উপস্থিতির লক্ষণ বলেও মনে করা হয় কিছু সংস্কৃতিতে।
রাত ৩টে নাগাদ ঘুম ভাঙা নিয়ে এমন অনেক তত্ত্ব পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যজনিত কারণগুলিকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। ঘন ঘন এমন হতে থাকলে, অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।