০২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
ভারতে বিমান বিধ্বস্ত

যানজটে আটকে ফ্লাইট মিস, প্রাণে বেঁচেছেন যে নারী

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৩:৫৩:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
  • 22

ছবি: সংগৃহীত

নির্ধারিত সময়ে বিমান মিস করায় বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে হতাশ হয়ে পরেছিলেন পড়েছিলেন বছর তিরিশের ভূমি চৌহান। আহমেদাবাদ থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী যে বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়, সেই বিমানেই তার যাত্রা করার কথা ছিল। অঙ্কলেশ্বরের বাসিন্দা মিজ চৌহান পরে সড়কপথে আহমেদাবাদের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছিলেন।

ভূমি চৌহান বলেন, আমরা সময়মতো আহমেদাবাদ পৌঁছালেও শহরের ট্রাফিক জ্যামের কারণে আমি পাঁচ মিনিট দেরিতে বিমানবন্দরে পৌঁছাই। তাই আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রথমে এই ভেবে খুব খারাপ লেগেছিল যে, টিকিটের টাকা নষ্ট হয়েছে, হয়ত চাকরি হারাতে পারি। কিন্তু এখন আমি কৃতজ্ঞ…টাকা হয়তো নষ্ট হয়েছে, কিন্তু জীবন বেঁচে গিয়েছে।’

পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন মিজ চৌহান। বছর দুয়েক আগে ব্রিস্টলের বাসিন্দা কেওয়াল চৌহানকে বিয়ে করেন তিনি। যানজটে আটকে থাকাকালীন অনলাইনে ফ্লাইটের জন্য ‘চেক-ইন’ করেছিলেন মিজ চৌহান।

আরো পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় সবাই মারা গেলেও বেঁচে গেলেন ১ জন

তিনি বলেন, ‘এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা বলেছিলেন আমি দেরি করেছি। ইমিগ্রেশন হয়ে গিয়েছে, বোর্ডিং প্রক্রিয়াও শেষ। আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম। বলেছিলাম, আমি চাকরি হারাতে পারি। টিকিটের টাকাও নষ্ট হবে। কিন্তু কেউ শোনেনি।’ এরপর তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান। ফেরার সময় চা খাচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময়েই দুর্ঘটনার খবর পান।

ভূমি চৌহান আরো বলেন, ‘আমরা চা খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে আলোচনা করছিলাম, কীভাবে টাকা ফেরত পাওয়া যায়। সেই সময় ফোন আসে। জানতে পারি যে আমি যে বিমানটিতে যাওয়ার কথা ছিল, সেটি ক্র্যাশ করেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে মন্দিরে গিয়ে ঈশ্বরকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আহমেদাবাদের ট্রাফিক জ্যাম আমার জীবন বাঁচিয়েছে।’ খবর- বিবিসি

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

ভারতে বিমান বিধ্বস্ত

যানজটে আটকে ফ্লাইট মিস, প্রাণে বেঁচেছেন যে নারী

সর্বশেষ আপডেট : ০৩:৫৩:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

নির্ধারিত সময়ে বিমান মিস করায় বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে হতাশ হয়ে পরেছিলেন পড়েছিলেন বছর তিরিশের ভূমি চৌহান। আহমেদাবাদ থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী যে বিমানটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়, সেই বিমানেই তার যাত্রা করার কথা ছিল। অঙ্কলেশ্বরের বাসিন্দা মিজ চৌহান পরে সড়কপথে আহমেদাবাদের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছিলেন।

ভূমি চৌহান বলেন, আমরা সময়মতো আহমেদাবাদ পৌঁছালেও শহরের ট্রাফিক জ্যামের কারণে আমি পাঁচ মিনিট দেরিতে বিমানবন্দরে পৌঁছাই। তাই আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। প্রথমে এই ভেবে খুব খারাপ লেগেছিল যে, টিকিটের টাকা নষ্ট হয়েছে, হয়ত চাকরি হারাতে পারি। কিন্তু এখন আমি কৃতজ্ঞ…টাকা হয়তো নষ্ট হয়েছে, কিন্তু জীবন বেঁচে গিয়েছে।’

পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন মিজ চৌহান। বছর দুয়েক আগে ব্রিস্টলের বাসিন্দা কেওয়াল চৌহানকে বিয়ে করেন তিনি। যানজটে আটকে থাকাকালীন অনলাইনে ফ্লাইটের জন্য ‘চেক-ইন’ করেছিলেন মিজ চৌহান।

আরো পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় সবাই মারা গেলেও বেঁচে গেলেন ১ জন

তিনি বলেন, ‘এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা বলেছিলেন আমি দেরি করেছি। ইমিগ্রেশন হয়ে গিয়েছে, বোর্ডিং প্রক্রিয়াও শেষ। আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম। বলেছিলাম, আমি চাকরি হারাতে পারি। টিকিটের টাকাও নষ্ট হবে। কিন্তু কেউ শোনেনি।’ এরপর তিনি বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান। ফেরার সময় চা খাচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময়েই দুর্ঘটনার খবর পান।

ভূমি চৌহান আরো বলেন, ‘আমরা চা খাওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিলাম। ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে আলোচনা করছিলাম, কীভাবে টাকা ফেরত পাওয়া যায়। সেই সময় ফোন আসে। জানতে পারি যে আমি যে বিমানটিতে যাওয়ার কথা ছিল, সেটি ক্র্যাশ করেছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে মন্দিরে গিয়ে ঈশ্বরকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আহমেদাবাদের ট্রাফিক জ্যাম আমার জীবন বাঁচিয়েছে।’ খবর- বিবিসি