১০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

সাঁকো ভেঙেছে এক মাস, সাঁতরে নদী পার হচ্ছে ৮ গ্রামের মানুষ

  • ইউএনবি
  • সর্বশেষ আপডেট : ১১:০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
  • 25

বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় ৮ গ্রামের মানুষ। ছবি : ইউএনবি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে বারোমাসিয়া (বাণিদাহ) নদীর ওপর ২২০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই পাড়ের অন্তত আট গ্রামের মানুষ।

প্রায় এক মাস ধরে কেউ এক বুক পানি মাড়িয়ে, কেউবা সাঁতরে নদী পার হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন শিশু, নারী ও শিক্ষার্থীরা।

এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে ভাঙা সাঁকোটি দ্রুত পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ীর বারোমাসিয়া (বাণিদাহ) নদীর নবিউলের ঘাট বা আমিন মেম্বারের ঘাট এলাকায় ২২০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকোটির দক্ষিণ দিকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ফুট দীর্ঘ অংশ ভেঙে পড়েছে।

ফলে দুপাড়ের বাসিন্দাদের কেউ কেউ এক বুক পানি পাড়ি দিয়ে হেঁটে পার হচ্ছেন, অনেককে আবার সাঁতরিয়েও নদী পারাপার হতে দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে বারোমাসিয়া নদীটি তারা পাড়ি দিয়ে আসছিলেন ছোট ছোট ডিঙি ও মাঝারি নৌকা দিয়ে।

সেই সময় থেকে করিমের, নবিউলের এবং সর্বশেষ আমিন মেম্বারের ঘাট ইজারাদারের মাধ্যমে পারাপার হতো দুপাড়ের মানুষ।

পরবর্তীতে নদীর আকার ছোট হয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর ধরে ওই সাঁকোটিই ছিল তাদের পারাপারের একমাত্র উপায়।

 

হঠাৎ নেমে আসা বিপদ

তবে বর্ষাকালে নদীর স্রোতের কথা মাথায় রেখে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই সাঁকোটির মেরামত করা হয়ে থাকে।

এ বছরও সেই প্রস্তুতি ছিল, কিন্তু মাসখানেক আগে তীব্র স্রোতের কারণে সাঁকোর নিচে জমে থাকা কচুরিপানার চাপে সেটি ভেঙে পড়ে।

তারপর থেকে চরম বিপাকে পড়েছেন নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী, চরগোরকমন্ডল, ঝাঁউকুটি, পশ্চিম ফুলমতি ও নাওডাঙ্গা; শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের হকবাজার এবং পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাহাট ইউনিয়নের চরখারুয়া ও খারুয়াসহ ৮ গ্রামের হাজারো মানুষ।

 

আরও পড়ুন  : বিয়ের পর স্বামী–স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় ঘটককে গাছে বেঁধে মারধর

কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকার আহের আলী ও ঝাউকুটি এলাকার নুর ইসলাম বলেন, আমাদের কিছু বলার ভাষা নেই। সাঁকোটি ভেঙে গেছে প্রায় এক মাস হয়ে গেল।

‘এখন পর্যন্ত সেটি মেরামতের জন্য কেউ উদ্যোগই নেয়নি। প্রতিদিনেই বাইসাইকেল কাঁধে নিয়ে আমাদের নদীর পার হতে হচ্ছে। আসলে আমাদের এই দুঃখ-কষ্ট দেখার কেউ নেই!’, বলেন তিনি।

 

বেশি দুর্ভোগে নারী-শিশুরা

স্থানীয় মর্জিনা বেগম ও জাহানারা বেগম বলেন, ‘কি কই বাহে! তোমরাতো দেখতেছেন। আমরা বারোমাসিয়া নদীর এক বুক পানি মাড়ি দিয়ে ভুট্টার শুকানো খড়ি (লাকড়ি) মাথায় নিয়ে পার হচ্ছি।’

অনেকেই তাদের দুর্দশা ক্যামেরায় ধারণ করে নিয়ে গেলেও তা লাঘবে কেউ তৎপরতা দেখান না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই দুই নারী।

তাদের কথায়, ‘খালি ছবি তোলেন বাহে। আজ এক মাস ধইরা এত কষ্ট কইরা যাচ্ছি, কেউই খোঁজ নিতে আইলো না। এহন স্কুল বন্ধ। কয়দিন পর স্কুল খুইলা দিলেই আমাগোরে ছাওয়াল-মাইয়ার বহুত কষ্ট হইবে। স্কুল খুলনের আগেই বিরিজ (ব্রিজ/সাঁকো) ঠিক কইরা দেওনের দাবি জানাই।’

চর খারুয়া এলাকার বাসিন্দা তসলিম উদ্দিন জানান, এলাকার শত শত মানুষ এই পথেই বালারহাট বাজারে নিয়মিত আসা-যাওয়া করে।

এ ছাড়াও এলাকার ছেলে-মেয়েরা নাওডাঙ্গা স্কুল ও বালারহাট আদর্শ স্কুলে পড়ে। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় সবারই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন : শ্বশুরকে গাছে বেঁধে পেটালেন জামাই, জানা গেল কারণ

ওই এলাকার শিক্ষার্থী জুয়েল রানা ও মাসুদ রানা এবং ঝাউকুটি এলাকার শিক্ষার্থী হাসানুর রহমান বলেন, এখন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় মাঝেমধ্যে সাঁতার দিয়ে নদী পার হচ্ছি।

কয়েকদিন পর স্কুল-কলেজ খুলবে। তখন বইখাতা নিয়ে নদী সাঁতরিয়ে কীভাবে যাব, তা নিয়ে আমরা সবাই দুশ্চিন্তায় আছি।

স্থানীয় মৎস্য খামারি আতাউর রহমান রতন ও মজিবর রহমান বাবু বলেন, নদী ওপারে আমরা মাছ চাষ করছি। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছি। নদীর ওপারে বিশাল বিশাল মৎস্য খামার রয়েছে।

‘আমরা মাছের খাদ্যসামগ্রী পারাপার করতে পারছি না। মাছ বিক্রি করতেও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। দিনে যতবারই পারাপার হই, ততবারই নদী সাঁতরিয়ে যেতে হয়।,’ যোগ করেন মজিবর।

তারা আরও বলেন, এই সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ পারাপার হতো। তবে ভেঙে যাওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত দেখতেই আসেনি। প্রশাসন যদি মেরামতের উদ্যোগ নেয়, প্রয়োজনে আমরাও অর্থ দিয়ে, শ্রম দিয়ে সহযোগিতা করব।

 

কী বলছে কর্তৃপক্ষ

কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আমিনুল হক বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে সাঁকোটি মেরামত করার জন্য গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাঁশ সংগ্রহ শুরু করেছি। তবে তাড়াতাড়ি সাঁকোটি পূনর্নির্মাণ করা না হলে নদীর বেড়ে গেলে সেক্ষেত্রে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। তাই শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাছেন আলী বলেন, ‘সবার যৌথ উদ্যোগে হলেও ভেঙে যাওয়া সাঁকোটির দ্রুত পূনর্নির্মাণ জরুরি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। পাশাপাশি স্থানীয়দেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজউদ্দৌলার।

আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘খুব শিগগিরই সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এরপর বরাদ্দ এলে সেখানে বাঁশের সাঁকোটি পূনর্নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে।’

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

সাঁকো ভেঙেছে এক মাস, সাঁতরে নদী পার হচ্ছে ৮ গ্রামের মানুষ

সর্বশেষ আপডেট : ১১:০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নে বারোমাসিয়া (বাণিদাহ) নদীর ওপর ২২০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই পাড়ের অন্তত আট গ্রামের মানুষ।

প্রায় এক মাস ধরে কেউ এক বুক পানি মাড়িয়ে, কেউবা সাঁতরে নদী পার হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন শিশু, নারী ও শিক্ষার্থীরা।

এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে ভাঙা সাঁকোটি দ্রুত পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ীর বারোমাসিয়া (বাণিদাহ) নদীর নবিউলের ঘাট বা আমিন মেম্বারের ঘাট এলাকায় ২২০ ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকোটির দক্ষিণ দিকে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ফুট দীর্ঘ অংশ ভেঙে পড়েছে।

ফলে দুপাড়ের বাসিন্দাদের কেউ কেউ এক বুক পানি পাড়ি দিয়ে হেঁটে পার হচ্ছেন, অনেককে আবার সাঁতরিয়েও নদী পারাপার হতে দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, স্বাধীনতার পর থেকে বারোমাসিয়া নদীটি তারা পাড়ি দিয়ে আসছিলেন ছোট ছোট ডিঙি ও মাঝারি নৌকা দিয়ে।

সেই সময় থেকে করিমের, নবিউলের এবং সর্বশেষ আমিন মেম্বারের ঘাট ইজারাদারের মাধ্যমে পারাপার হতো দুপাড়ের মানুষ।

পরবর্তীতে নদীর আকার ছোট হয়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর ধরে ওই সাঁকোটিই ছিল তাদের পারাপারের একমাত্র উপায়।

 

হঠাৎ নেমে আসা বিপদ

তবে বর্ষাকালে নদীর স্রোতের কথা মাথায় রেখে বৃষ্টির মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই সাঁকোটির মেরামত করা হয়ে থাকে।

এ বছরও সেই প্রস্তুতি ছিল, কিন্তু মাসখানেক আগে তীব্র স্রোতের কারণে সাঁকোর নিচে জমে থাকা কচুরিপানার চাপে সেটি ভেঙে পড়ে।

তারপর থেকে চরম বিপাকে পড়েছেন নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত শিমুলবাড়ী, চরগোরকমন্ডল, ঝাঁউকুটি, পশ্চিম ফুলমতি ও নাওডাঙ্গা; শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের হকবাজার এবং পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাহাট ইউনিয়নের চরখারুয়া ও খারুয়াসহ ৮ গ্রামের হাজারো মানুষ।

 

আরও পড়ুন  : বিয়ের পর স্বামী–স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় ঘটককে গাছে বেঁধে মারধর

কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকার আহের আলী ও ঝাউকুটি এলাকার নুর ইসলাম বলেন, আমাদের কিছু বলার ভাষা নেই। সাঁকোটি ভেঙে গেছে প্রায় এক মাস হয়ে গেল।

‘এখন পর্যন্ত সেটি মেরামতের জন্য কেউ উদ্যোগই নেয়নি। প্রতিদিনেই বাইসাইকেল কাঁধে নিয়ে আমাদের নদীর পার হতে হচ্ছে। আসলে আমাদের এই দুঃখ-কষ্ট দেখার কেউ নেই!’, বলেন তিনি।

 

বেশি দুর্ভোগে নারী-শিশুরা

স্থানীয় মর্জিনা বেগম ও জাহানারা বেগম বলেন, ‘কি কই বাহে! তোমরাতো দেখতেছেন। আমরা বারোমাসিয়া নদীর এক বুক পানি মাড়ি দিয়ে ভুট্টার শুকানো খড়ি (লাকড়ি) মাথায় নিয়ে পার হচ্ছি।’

অনেকেই তাদের দুর্দশা ক্যামেরায় ধারণ করে নিয়ে গেলেও তা লাঘবে কেউ তৎপরতা দেখান না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই দুই নারী।

তাদের কথায়, ‘খালি ছবি তোলেন বাহে। আজ এক মাস ধইরা এত কষ্ট কইরা যাচ্ছি, কেউই খোঁজ নিতে আইলো না। এহন স্কুল বন্ধ। কয়দিন পর স্কুল খুইলা দিলেই আমাগোরে ছাওয়াল-মাইয়ার বহুত কষ্ট হইবে। স্কুল খুলনের আগেই বিরিজ (ব্রিজ/সাঁকো) ঠিক কইরা দেওনের দাবি জানাই।’

চর খারুয়া এলাকার বাসিন্দা তসলিম উদ্দিন জানান, এলাকার শত শত মানুষ এই পথেই বালারহাট বাজারে নিয়মিত আসা-যাওয়া করে।

এ ছাড়াও এলাকার ছেলে-মেয়েরা নাওডাঙ্গা স্কুল ও বালারহাট আদর্শ স্কুলে পড়ে। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় সবারই চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন : শ্বশুরকে গাছে বেঁধে পেটালেন জামাই, জানা গেল কারণ

ওই এলাকার শিক্ষার্থী জুয়েল রানা ও মাসুদ রানা এবং ঝাউকুটি এলাকার শিক্ষার্থী হাসানুর রহমান বলেন, এখন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় মাঝেমধ্যে সাঁতার দিয়ে নদী পার হচ্ছি।

কয়েকদিন পর স্কুল-কলেজ খুলবে। তখন বইখাতা নিয়ে নদী সাঁতরিয়ে কীভাবে যাব, তা নিয়ে আমরা সবাই দুশ্চিন্তায় আছি।

স্থানীয় মৎস্য খামারি আতাউর রহমান রতন ও মজিবর রহমান বাবু বলেন, নদী ওপারে আমরা মাছ চাষ করছি। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছি। নদীর ওপারে বিশাল বিশাল মৎস্য খামার রয়েছে।

‘আমরা মাছের খাদ্যসামগ্রী পারাপার করতে পারছি না। মাছ বিক্রি করতেও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। দিনে যতবারই পারাপার হই, ততবারই নদী সাঁতরিয়ে যেতে হয়।,’ যোগ করেন মজিবর।

তারা আরও বলেন, এই সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ পারাপার হতো। তবে ভেঙে যাওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত দেখতেই আসেনি। প্রশাসন যদি মেরামতের উদ্যোগ নেয়, প্রয়োজনে আমরাও অর্থ দিয়ে, শ্রম দিয়ে সহযোগিতা করব।

 

কী বলছে কর্তৃপক্ষ

কিশামত শিমুলবাড়ী এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আমিনুল হক বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে সাঁকোটি মেরামত করার জন্য গ্রামে গ্রামে গিয়ে বাঁশ সংগ্রহ শুরু করেছি। তবে তাড়াতাড়ি সাঁকোটি পূনর্নির্মাণ করা না হলে নদীর বেড়ে গেলে সেক্ষেত্রে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। তাই শিগগিরই এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাছেন আলী বলেন, ‘সবার যৌথ উদ্যোগে হলেও ভেঙে যাওয়া সাঁকোটির দ্রুত পূনর্নির্মাণ জরুরি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। পাশাপাশি স্থানীয়দেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় ফুলবাড়ী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিরাজউদ্দৌলার।

আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘খুব শিগগিরই সরেজমিনে পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। এরপর বরাদ্দ এলে সেখানে বাঁশের সাঁকোটি পূনর্নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হবে।’