গত কয়েক দিন টানা ঢাকার বায়ুমান মাঝারি থাকার পর আজ শনিবার তার অবনতি হয়েছে। তবে বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলো থেকে দূরেই আছে বাংলাদেশের রাজধানী।
শনিবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই সূচক ছিল ১১২। বায়ুমানের শ্রেণি অনুযায়ী, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মানুষের জন্য এই মান অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়।
এই সময়ে ১৪১ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর ছিল উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা। ১৩৯ স্কোর নিয়ে তার পরেই ছিল ইন্দোনেশিয়ার বাতাম ও বাহরাইনের মানামা শহর। ১৩৪ ও ১৩২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষ চতুর্থ ও পঞ্চম দূষিত শহর ছিল কঙ্গোর কিনশাসা ও আরব আমিরাতের দুবাই।
দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষস্থানে সবসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর শহরের আধিক্য লক্ষ করা গেলেও বেশ কয়েকদিন পর এর ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়েছে। আজ শীর্ষ পাঁচ দূষিত শহরের তালিকার বাইরে ছিল বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের বড় শহরগুলো।
কার অবস্থান কত
এই সময়ে ১২৯ এইকিউআই সূচক নিয়ে লাহোর ছিল তালিকার ষষ্ঠ স্থানে, ১১৯ স্কোর নিয়ে দিল্লি অষ্টম এবং ঢাকা দশম স্থানে অবস্থান করছিল।
কণা দূষণের একিউআই মান যদি ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০-এর মধ্যে হলে সেটি ‘মাঝারি’।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে।
আরো পড়ুুন: এবার কোন পথে যাবেন খামেনি?
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।