ইসরায়েলের সাথে মিলে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানে করে, তবে চীন ও রাশিয়া সবচেয়ে বেশি খুশি হবে বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ আলাম সালেহ।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সালেহ বলেন, এমনটা হলে সেটা চীন ও রাশিয়ার জন্য হবে ভীষণ আনন্দের।
সালেহ বলেন, চীন ও রাশিয়া চাইবে, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ুক, যে দেশটি তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী। এতে যুক্তরাষ্ট্রের বেশি শক্তি ক্ষয় হবে।
ইরান তেমন একটি দেশ মন্তব্য করে এই বিশ্লেষক আরও বলেন, ‘ইরান কিন্তু ইয়েমেনের হুতি বা আফগানিস্তানের তালেবান নয় এবং অবশ্যই এটি সিরিয়া বা ইরাকও নয়।’
তার ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ দিয়ে ইরানের সাথে যুদ্ধ শুরু করে তবে, সেখানে ইরানকে সহায়তা করবে চীন ও রাশিয়া। এর উদ্দেশ্য হবে দীর্ঘ মেয়াদে ইরানকে টিকিয়ে রাখা।
আরও পড়ুন : ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র এখনও বেরই করেনি ইরান
এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র অন্তত আরও কয়েক বছর মধ্যপ্রাচ্যে ব্যস্ত থাকবে এবং এতে সে ক্লান্ত হয়ে পড়বে।
তবে ইরানের পক্ষ নিয়ে চীন ও রাশিয়া সরাসরি এই যুদ্ধে জড়াবে না বলে মনে করেন এই বিশ্লেষক।
তিনি বলেন, পেছন থেকে ইরানকে কৌশলগত সমর্থন দেবে এই দুটি দেশ। কারণ দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধ শুরু হলে পশ্চিমাদের ওপর চাপ বাড়বে। এবং এর ফলে এশীয় প্রতিদ্বন্দ্বী বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার লাভ হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন রাতে হঠাৎ ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এ অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
আরও পড়ুন : ইরানকে সাহায্য করছে ৬০০ রাশিয়ান, বললেন পুতিন
এরপর থেকে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান। এরপর সেই থেকে চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত উভয়দেশের অনেকে নিহত ও আহত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ববং দিন দিন একে অপরের ওপর হামলার তীব্রতা আরও বাড়াচ্ছে। এরই মধ্যে এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।