ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ এখন অষ্টম দিনে পড়েছে, আর গোটা বিশ্ব নজর রাখছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কী সিদ্ধান্ত নেন সেটি দেখার জন্য।
এরইমধ্যে পরমাণু কর্মসূচি পরিত্যাগ করার জন্য ইরানকে দুই সপ্তাহের সময় বেধে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সময়ের মধ্যে ইরানি নেতাদের মনোভাব বুঝে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন যে, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি এই যুদ্ধে জড়াবে কিনা।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) হোয়াইট হাউসের এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানা গেছে।
ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানান, সামরিক পদক্ষেপের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চান।
ক্যারোলিন লিভিট জানান, ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে ইরানের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বা নাও হতে পারে।
প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘আমি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমার সিদ্ধান্ত নেব যে, আমি (ইরান সংঘাতে) যাব কিনা’, জানান প্রেস সেক্রেটারি।
আরও পড়ুন : ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে খামেনির ভিডিও পোস্ট, যা জানা গেল
ক্যারোলিন বলেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনার একটি সম্ভাবনা রয়েছে। সেটার ওপর ভিত্তি করে প্রেসিডেন্ট দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
সিবিএস নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র, যেটি ভূগর্ভে অবস্থিত, তাতে হামলা চালানোর বিষয়টি বিবেচনা করছেন।
কেবল যুক্তরাষ্ট্রেরই এমন বোমা রয়েছে যা ওই ভূগর্ভস্থ স্থাপনাটি ধ্বংস করতে সক্ষম হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন রাতে হঠাৎ ইরানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এ অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
আরও পড়ুন : ইরানকে সাহায্য করছে ৬০০ রাশিয়ান, বললেন পুতিন
এরপর থেকে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু করে ইরান। এরপর সেই থেকে চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত উভয়দেশের অনেকে নিহত ও আহত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ববং দিন দিন একে অপরের ওপর হামলার তীব্রতা আরও বাড়াচ্ছে। এরই মধ্যে এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।