ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের আগাম সতর্কবার্তা দেয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই রকেট হামলা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয় এবং তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা এখন সামাজিক মাধ্যমে বীরশেবা শহরে আগুন ও ধোঁয়ার ছবি পোস্ট করছেন। বীরশেবা ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমি অঞ্চলে অবস্থিত।
কোনো স্থাপনায় ঠিক কীভাবে হামলা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে অন্তত একটি স্থানে ক্ষেপণাস্ত্রের সরাসরি আঘাতের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, যে ইরান থেকে নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তরঙ্গ শনাক্ত করা হয়েছে এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এগুলো প্রতিহত করতে কাজ করছে।
এদিকে টাইমস অব ইসরায়েল জানাচ্ছে, ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বীরশেবা ও আশেপাশের এলাকাগুলোতে সাইরেন বাজানো হয়েছে। কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক এর বরাতে জানা গেছে, বীরশেবা শহরের একটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এদিকে, সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে সম্প্রচার নিষিদ্ধ থাকায় তারা জর্ডান থেকে প্রতিবেদন করছে।
এদিকে, ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের ইস্যুতে একমত হয়েছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। এই দুই দেশের শীর্ষ প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন ইরানকে কখনই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সুযোগ দেয়া যাবে না। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর বৈঠকের পর তাদের আলোচনার বিবৃতিতে এমনটি বলা হয়েছে। ল্যামি মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে ‘চরম বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কীভাবে দীর্ঘমেয়াদে ইরানের পারমাণবিক ইস্যু সমাধান করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক সমাধানের জন্য আগামী দুই সপ্তাহে একটি সুযোগের জানালা উন্মুক্ত রয়েছে।’ রুবিওর মুখপাত্র জানিয়েছেন, উভয় নেতা একমত হয়েছেন যে, ‘ইরান কখনই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি বা অর্জন করতে পারবে না।’
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে তিনি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন।