০৪:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

এবার আলোচনায় বিশ্বের সবচেয়ে ‘শক্তিশালী বোমা’ এমওপি

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০২:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
  • 34

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘বাংকার ধ্বংসকারী’ বোমার নাম জেবিইউ-৫এ/বি ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর (এমওপি)। এটি পারমাণবিক নয়, তবে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০০ ফুট (৬১ মিটার) নিচে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।

এত ভারী ও শক্তিশালী বোমা অন্য কোনো দেশের হাতে নেই। এটি সম্পূর্ণ মার্কিন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বোমাটির ওজন প্রায় ৩০ হাজার পাউন্ড (১৩ হাজার ৬০০ কেজি)।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা এমওপি

এমওপি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্পিরিট স্টিলথ বোম্বারে বহন করা সম্ভব। এই বিমান খুব কম রাডারে ধরা পড়ে এবং একসঙ্গে দুটো এমওপি বোমা নিয়ে একটানা প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। আকাশে জ্বালানি পূরণের মাধ্যমে এর পাল্লা আরও বেড়ে যায়। এই ক্ষমতার কারণে পৃথিবীর যে কোনো স্থানে দ্রুত পৌঁছে আঘাত হানতে সক্ষম এটি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের ফারদো পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করতে চাইলে এই বোমাই সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র। ইসরায়েলের কাছে এই বোমা নেই। যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইসরায়েলের পক্ষে এটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি। ফলে এমওপি ব্যবহার হবে কি না, তা পুরোপুরি নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র ইরানবিরোধী অভিযানে কতটা সরাসরি অংশগ্রহণ করবে তার ওপর।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ডের পিস স্টাডিজের এমেরিটাস অধ্যাপক পল রজার্স বলেন, এমওএব’র মত আকার ও শক্তি সমৃদ্ধ এক ধরনের অস্ত্র তৈরির জন্য অনেক চেষ্টা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী। যেটির বিস্ফোরক অংশটি থাকবে খুবই শক্ত ধাতব খোলের মধ্যে। সেই চেষ্টার ফলাফল হিসাবে তৈরি হয়েছে ওই ‘এমওপি’ বোমা।’

আরও পড়ুন : ইরানে মার্কিন হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন ট্রাম্পের

বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বি-টু স্পিরিট বিমান এই এমওপি বোমা বহনে সক্ষম। এই বিমান স্টিলথ বম্বার বা ‘বি-টু’ নামেও পরিচিত।

রজার্স বলেন, ‘ইরানের মতো শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, এমন কোনো দেশের বিরুদ্ধে যদি এমওপি বোমা ব্যবহার করা হয়, তাহলে বি-টু বিমানের পাশাপাশি এফ-২২ বিমান এবং ড্রোনও লাগবে। আর এমন বোমার সংখ্যা আমেরিকার হাতে খুব সীমিত।’

তার মতে, ‘যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করার মতো সব মিলিয়ে ১০-২০টির মতো আছে।’

এমওপি বোমা নির্মাণ করেছে বোয়িং। এটি এর আগে কখনো যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়নি। তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের হোয়াইট স্যান্ডস মিসাইল রেঞ্জে পরীক্ষা করা হয়েছে।

এই বোমাটি প্রায় ২১ হাজার ৬০০ পাউন্ডের (৯ হাজার ৮০০ কেজি) ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স এয়ার ব্লাস্ট (এমওএবি) বোমার চেয়েও বেশি শক্তিশালী।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

এবার আলোচনায় বিশ্বের সবচেয়ে ‘শক্তিশালী বোমা’ এমওপি

সর্বশেষ আপডেট : ০২:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘বাংকার ধ্বংসকারী’ বোমার নাম জেবিইউ-৫এ/বি ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর (এমওপি)। এটি পারমাণবিক নয়, তবে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০০ ফুট (৬১ মিটার) নিচে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।

এত ভারী ও শক্তিশালী বোমা অন্য কোনো দেশের হাতে নেই। এটি সম্পূর্ণ মার্কিন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বোমাটির ওজন প্রায় ৩০ হাজার পাউন্ড (১৩ হাজার ৬০০ কেজি)।

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা এমওপি

এমওপি কেবল যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্পিরিট স্টিলথ বোম্বারে বহন করা সম্ভব। এই বিমান খুব কম রাডারে ধরা পড়ে এবং একসঙ্গে দুটো এমওপি বোমা নিয়ে একটানা প্রায় ১১ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। আকাশে জ্বালানি পূরণের মাধ্যমে এর পাল্লা আরও বেড়ে যায়। এই ক্ষমতার কারণে পৃথিবীর যে কোনো স্থানে দ্রুত পৌঁছে আঘাত হানতে সক্ষম এটি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরানের ফারদো পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করতে চাইলে এই বোমাই সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র। ইসরায়েলের কাছে এই বোমা নেই। যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইসরায়েলের পক্ষে এটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি। ফলে এমওপি ব্যবহার হবে কি না, তা পুরোপুরি নির্ভর করছে যুক্তরাষ্ট্র ইরানবিরোধী অভিযানে কতটা সরাসরি অংশগ্রহণ করবে তার ওপর।

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ব্র্যাডফোর্ডের পিস স্টাডিজের এমেরিটাস অধ্যাপক পল রজার্স বলেন, এমওএব’র মত আকার ও শক্তি সমৃদ্ধ এক ধরনের অস্ত্র তৈরির জন্য অনেক চেষ্টা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী। যেটির বিস্ফোরক অংশটি থাকবে খুবই শক্ত ধাতব খোলের মধ্যে। সেই চেষ্টার ফলাফল হিসাবে তৈরি হয়েছে ওই ‘এমওপি’ বোমা।’

আরও পড়ুন : ইরানে মার্কিন হামলার পরিকল্পনায় অনুমোদন ট্রাম্পের

বর্তমানে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বি-টু স্পিরিট বিমান এই এমওপি বোমা বহনে সক্ষম। এই বিমান স্টিলথ বম্বার বা ‘বি-টু’ নামেও পরিচিত।

রজার্স বলেন, ‘ইরানের মতো শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, এমন কোনো দেশের বিরুদ্ধে যদি এমওপি বোমা ব্যবহার করা হয়, তাহলে বি-টু বিমানের পাশাপাশি এফ-২২ বিমান এবং ড্রোনও লাগবে। আর এমন বোমার সংখ্যা আমেরিকার হাতে খুব সীমিত।’

তার মতে, ‘যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করার মতো সব মিলিয়ে ১০-২০টির মতো আছে।’

এমওপি বোমা নির্মাণ করেছে বোয়িং। এটি এর আগে কখনো যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়নি। তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকো অঙ্গরাজ্যের হোয়াইট স্যান্ডস মিসাইল রেঞ্জে পরীক্ষা করা হয়েছে।

এই বোমাটি প্রায় ২১ হাজার ৬০০ পাউন্ডের (৯ হাজার ৮০০ কেজি) ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স এয়ার ব্লাস্ট (এমওএবি) বোমার চেয়েও বেশি শক্তিশালী।