০৮:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

শেষ বিকেলে ব্যাটিং ধসে মুশফিক-লিটনের হতাশা

  • ঢাকা ডেস্ক
  • সর্বশেষ আপডেট : ০৮:১৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • 21

ছবি: সংগৃহীত

নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনে চালকে আসনে ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে তাদের পথেই হাঁটছিলেন লিটন দাস। তাতে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথে ছিল টাইগাররা। কিন্তু শেষ বিকেলে ব্যাটিং ধসে ২৬ রানে ৫ উইকেট পতনে এখন ৫শ রান অনিশ্চিতের মুখে পড়েছে লাল-সবুজের দল।

গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৯২ রান করেছিল সফরকারী বাংলাদেশ। শান্ত ১৩৬ ও মুশফিক ১০৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিন শেষে ১৫১ ওভারে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান করেছে বাংলাদেশ। শান্ত ১৪৮, মুশফিক ১৬৩ ও লিটন ৯০ রান করে আউট হয়ে গেছেন।

বুধবার (১৮ জুন) দ্বিতীয় দিনের সপ্তম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন নাজমুল শান্ত। লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে মিড অফে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ২৭৯ বল খেলে ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৪৮ রান করেন শান্ত। চতুর্থ উইকেটে মুশফিকের সাথে ৪৮০ বলে ২৬৪ রানের জুটি গড়েন শান্ত। বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

শান্তর বিদায়ে ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী হন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। দুজনের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ইনিংসও বড় হতে থাকে। অবশ্য জুটি গড়ার চেষ্টায় শুরুতেই জীবন পান দুজনে। মুশফিক ১২৬ রানে রান আউট এবং লিটন ১৪ রানে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ৯৭ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তম ও শ্রীলংকার বিপক্ষে তৃতীয়বার মত দেড়শ রানের কোটা স্পর্শ করেন মুশফিক।

মুশফিকের পর দাঁড়াতে পারেনি কেউ

মুশফিকের দেড়শর পর বাংলাদেশের রান চারশ ও লিটনের হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়। এরপর ১৩০তম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারির পর বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয় খেলা। তখন ৪ উইকেটে ৪২৩ রান ছিল টাইগারদের। প্রায় আড়াই ঘন্টা পর শুরু হয় খেলা। বৃষ্টির বিরতির পর খেলতে নেমে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেছেন মুশফিক ও লিটন। কিন্তু পরপর দু’ওভারে বিদায় নেন তারা।

১৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আসিথার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মুশফিক। উইকেট বাঁচাতে রিভিউ নেন মুশফিক। টিভি রিপ্লেতে ‘আম্পায়ার্স কল’-এর বিদায় ঘন্টা বাজে মুশফিকের। ৯ চারে ৩৫০ বল খেলে ১৬৩ রান করেন তিনি। এতে পঞ্চম উইকেটে লিটনের সাথে মুশফিকের ১৪৯ রানের জুটির ইতি ঘটে।

আরো পড়ুন: গিলক্রিস্টকে টপকে নতুন এক রেকর্ড মুশফিকের

পরের ওভারে নার্ভাস নাইন্টিতে আউট হন লিটন। শ্রীলংকার স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকের বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১২৩ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯০ রান করেন লিটন। দলীয় ৪৫৯ রানে পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর পরের দিকের ব্যাটাররা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি।

৪৮৪ রানে নবম উইকেট পতন হয় টাইগারদের। এসময় জাকের আলি ৮, নাইম হাসান ১১, তাইজুল ইসলাম ৬ রানে আউট হন। দিন শেষে হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা রানের খাতা না খুলে অপরাজিত আছেন। শ্রীলংকার অভিষিক্ত স্পিনার থারিন্দু, দুই পেসার আসিথা এবং মিলান রত্নায়েকে ফার্নান্দো ৩টি করে উইকেট নেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সেভ করুন

শেষ বিকেলে ব্যাটিং ধসে মুশফিক-লিটনের হতাশা

সর্বশেষ আপডেট : ০৮:১৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনে চালকে আসনে ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে তাদের পথেই হাঁটছিলেন লিটন দাস। তাতে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথে ছিল টাইগাররা। কিন্তু শেষ বিকেলে ব্যাটিং ধসে ২৬ রানে ৫ উইকেট পতনে এখন ৫শ রান অনিশ্চিতের মুখে পড়েছে লাল-সবুজের দল।

গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৯২ রান করেছিল সফরকারী বাংলাদেশ। শান্ত ১৩৬ ও মুশফিক ১০৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিন শেষে ১৫১ ওভারে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান করেছে বাংলাদেশ। শান্ত ১৪৮, মুশফিক ১৬৩ ও লিটন ৯০ রান করে আউট হয়ে গেছেন।

বুধবার (১৮ জুন) দ্বিতীয় দিনের সপ্তম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন নাজমুল শান্ত। লঙ্কান পেসার আসিথা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে মিড অফে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ২৭৯ বল খেলে ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৪৮ রান করেন শান্ত। চতুর্থ উইকেটে মুশফিকের সাথে ৪৮০ বলে ২৬৪ রানের জুটি গড়েন শান্ত। বাংলাদেশের হয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

শান্তর বিদায়ে ক্রিজে মুশফিকের সঙ্গী হন উইকেটরক্ষক লিটন দাস। দুজনের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের ইনিংসও বড় হতে থাকে। অবশ্য জুটি গড়ার চেষ্টায় শুরুতেই জীবন পান দুজনে। মুশফিক ১২৬ রানে রান আউট এবং লিটন ১৪ রানে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ৯৭ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তম ও শ্রীলংকার বিপক্ষে তৃতীয়বার মত দেড়শ রানের কোটা স্পর্শ করেন মুশফিক।

মুশফিকের পর দাঁড়াতে পারেনি কেউ

মুশফিকের দেড়শর পর বাংলাদেশের রান চারশ ও লিটনের হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়। এরপর ১৩০তম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারির পর বৃষ্টির কারণে বন্ধ হয় খেলা। তখন ৪ উইকেটে ৪২৩ রান ছিল টাইগারদের। প্রায় আড়াই ঘন্টা পর শুরু হয় খেলা। বৃষ্টির বিরতির পর খেলতে নেমে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেছেন মুশফিক ও লিটন। কিন্তু পরপর দু’ওভারে বিদায় নেন তারা।

১৪১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আসিথার এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন মুশফিক। উইকেট বাঁচাতে রিভিউ নেন মুশফিক। টিভি রিপ্লেতে ‘আম্পায়ার্স কল’-এর বিদায় ঘন্টা বাজে মুশফিকের। ৯ চারে ৩৫০ বল খেলে ১৬৩ রান করেন তিনি। এতে পঞ্চম উইকেটে লিটনের সাথে মুশফিকের ১৪৯ রানের জুটির ইতি ঘটে।

আরো পড়ুন: গিলক্রিস্টকে টপকে নতুন এক রেকর্ড মুশফিকের

পরের ওভারে নার্ভাস নাইন্টিতে আউট হন লিটন। শ্রীলংকার স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকের বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ১২৩ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯০ রান করেন লিটন। দলীয় ৪৫৯ রানে পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর পরের দিকের ব্যাটাররা প্রতিরোধ গড়তে পারেনি।

৪৮৪ রানে নবম উইকেট পতন হয় টাইগারদের। এসময় জাকের আলি ৮, নাইম হাসান ১১, তাইজুল ইসলাম ৬ রানে আউট হন। দিন শেষে হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা রানের খাতা না খুলে অপরাজিত আছেন। শ্রীলংকার অভিষিক্ত স্পিনার থারিন্দু, দুই পেসার আসিথা এবং মিলান রত্নায়েকে ফার্নান্দো ৩টি করে উইকেট নেন।